নতুন মৌসুমের শুরুতেই ঝলক দেখালেন ইংলিশ স্ট্রাইকার হ্যারি কেইন। মাত্র ১৪ মিনিটেই করলেন হ্যাটট্রিক। তার হ্যাটট্রিকের নৈপুণ্যে লাইপজিগকে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করে বুন্ডেসলিগায় শিরোপা ধরে রাখার অভিযান শুরু করল বায়ার্ন মিউনিখ। খেলার প্রথমার্ধ শেষে বায়ার্ন এগিয়ে ছিল ৩-০ গোলে। কিন্তু তখনো স্কোরশিটে নাম নেই হ্যারি কেইনের। বিরল ব্যাপারই বটে! সেই ব্যতিক্রমী চিত্র মুছে গেল দ্বিতীয়ার্ধে। কেইন ফিরলেন চেনা রূপে।
এক-দুটি নয়, তিনটি গোল করে ফেললেন ১৪ মিনিটের মধ্যেই। ম্যাচের পর বায়ার্নের গোল মেশিন কৃতজ্ঞতা জানালেন আক্রমণভাগে তার নতুন সঙ্গী লুইস দিয়াসের প্রতি। মৌসুম শুরুর ম্যাচে শনিবার ঘরের মাঠে বায়ার্নকে ২৭তম মিনিটে এগিয়ে দেন মাইকেল ওলিসে। মিনিট পাঁচেক পর গোল করেন লুইস দিয়াস। ৪২তম মিনিটে আরেকটি গোল করে ব্যবধান আরও বাড়ান ওলিসে। হ্যাটট্রিকের আশায় দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করেন ওলিসে। কিন্তু ৬৪তম মিনিটে প্রথম গোল করা কেইন হ্যাটট্রিক করে ফেলেন ৭৪ ও ৭৮তম মিনিটে গোল করে। গত দুই মৌসুমে বুন্ডেসলিগায় সবচেয়ে বেশি গোল করা ফরোয়ার্ড এবারও শুরু করলেন নিজের মতো করেই। কদিন আগে জার্মান সুপার কাপের শিরোপা জয়েও দলের প্রথম গোলটি করেছিলেন ৩২ বছর বয়সি তারকা। ম্যাচের পর কেইন বললেন, প্রথমার্ধে গোল না পেয়ে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন তিনি।
কেইন জানান, ‘প্রথমার্ধ শেষে আমরা ৩-০ গোলে এগিয়ে ছিলাম। নিজেকে তখন বলছিলাম, স্কোরশিটে আমার নাম নেই কেন? আমার নাম সেখানে তুলতেই হবে।’ তিনি আরও জানান, ‘উঁচু মানের পারফরম্যান্স দেখিয়েছি আমরা এবং দারুণ ক্ষুরধার ছিলাম। ৬-০ গোলে জয়ের পর কোনো আক্ষেপ-অভিযোগ থাকার কারণ নেই। প্রথম ম্যাচেই ঘরের মাঠে দাপুটে পারফরম্যান্সে একটি বার্তা দেওয়ার তাড়না ছিল আমাদের এবং আমরা তা পেরেছি। লাইপজিগ ভালো দল, তবে আজকে আমরা সব দিক থেকেই ছিলাম চূড়ায় এবং প্রয়োজনের সময় ছিলাম নিখুঁত।’ শক্তি-সামর্থ্যে এমনিতেই বুন্ডেসলিগার অন্য দলগুলোর চেয়ে এগিয়ে থাকা বায়ার্ন আরও সমৃদ্ধ হয়েছে এই মৌসুমে লিভারপুল থেকে লুইস দিয়াসকে এনে।
কলম্বিয়ান এই উইঙ্গারও দ্রুত মানিয়ে নিয়েছেন নতুন দলে। জার্মার কাপে কেইনের সঙ্গে গোল করেছিলেন তিনিও। এবার গোলের স্বাদ পেলেন তিনি বুন্ডেসলিগায় অভিষেকেও। এ ছাড়া কেইনের হ্যাটট্রিকে ২টি গোলে সহায়তাও করেন তিনি। কেইন বলেন, ‘মাত্রই কয়েক সপ্তাহ হলো সে (দিয়াস) দলে যোগ দিয়েছে। কিন্তু মনে হয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে তার সঙ্গে সংযোগ হয়ে গেছে আমার। আজকে আমাকে দুটি গোল বানিয়ে দিয়েছে সে, নিজের গোলেও কাজটা শেষ করেছে দারুণভাবে।’ আক্রমণভাগের আরেক সঙ্গী ওলিসের কথাও আলাদা করে বললেন কেইন। গত বছর ক্রিস্টাল প্যালেস থেকে বায়ার্নে যোগ দেওয়া ফরাসি তারকাও আলো ছড়াতে শুরু করেছেন জার্মান ফুটবলে।
কেই বলেন, ‘মাইকেলের (ওলিসে) সঙ্গে তো এক বছর হয়ে গেল। মনে হচ্ছে, ওর সঙ্গে সম্পর্ক জোরালো থেকে আরও জোরালো হচ্ছে। প্রথমার্ধে সে যে গোলগুলো করেছে, অসাধারণ খেলেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘দলের আত্মবিশ্বাসের জন্য এই জয় দারুণ। গোটা দলই দুর্দান্ত খেলেছে এবং বিশাল পারফরম্যান্স ছিল এটি।’