ইউরোপীয় অঞ্চলের বিশ^কাপ বাছাইপর্বে অঘটনের শিকার হয়েছে জার্মানি। স্লোভাকিয়ার কাছে ২-০ গোলে হেরেছে চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। জার্মানির হতাশার দিন দারুণ জয় পেয়েছে স্পেন ও বেলজিয়াম। স্পেন ৩-০ গোলে হারায় বুলগেরিয়াকে। আর বেলজিয়াম ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করে লিচেনস্টেইনকে।
এই প্রথম বিশ্বকাপ বাছাইয়ে অ্যাওয়ে ম্যাচে হারল জার্মানি। ডেভিড হানকো ও ডেভিড স্ত্রেলেক জার্মান রক্ষণভাগের ভুলকে কাজে লাগিয়ে স্লোভাকিয়াকে এগিয়ে নেন। শেষ পর্যন্ত জার্মানি শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হলেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি এবং আক্রমণ চালিয়েও স্লোভাক রক্ষণ ভাঙতে ব্যর্থ হয়। এর আগে জার্মানি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ৫২টি অ্যাওয়ে ম্যাচে কখনো হারেনি। কিন্তু এবার তাদের প্রথম বাছাইপর্বের ম্যাচেই সেই রেকর্ড ভেঙে গেল। এটি ছিল জার্মানির ১০৪টি বাছাই ম্যাচে মাত্র চতুর্থ পরাজয় এবং ১১৭ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রতিযোগিতামূলক লড়াইয়ে টানা তিন ম্যাচ হারের ঘটনা।
এদিকে, ভাসিল লেভস্কি ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে মিকেল ওয়ারজাবাল, মার্ক কুকুরেল্লা ও মিকেল মেরিনো গোল করে স্পেনকে পূর্ণ তিন পয়েন্ট এনে দেন। খেলার প্রথমার্ধেই তিনটি গোল করেছে স্প্যানিশরা। ম্যাচের শুরু থেকে দুই দলই আক্রমণাত্মক ছিল। কুকুরেল্লা ও ক্রিস্টিয়ান দিমিত্রভের শট ব্লক হওয়ার পরও মাত্র পাঁচ মিনিটেই স্পেন লিড নেয়। লামিনে ইয়ামাল ডান দিক দিয়ে দৌড়ে বল বাড়ান মার্টিন যুবিমেন্দিকে, যিনি নিখুঁত পাস দেন ওয়ারজাবালকে। আর ঠা-া মাথায় বল জালে জড়িয়ে দেন ওয়ারজাবাল। ৩০ মিনিটে স্পেন ব্যবধান দ্বিগুণ করে। ইয়ামালের ক্রস ক্লিয়ার হলেও বল গিয়ে পড়ে কুকুরেল্লার সামনে। তিনি সরাসরি নিচু শটে গোল করে বসেন। মাত্র ৮ মিনিট পর ইয়ামালের কর্নার থেকে মেরিনো হেড করে গোল করে স্পেনকে ৩-০তে এগিয়ে দেন।
অপর ম্যাচে তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ লিচেনস্টেইনের বিপক্ষে গোল উৎসব করল বেলজিয়াম। তাদের হয়ে ৬টি গোল করেন ম্যাক্সিম ডি কুইপার (২৯ মিনিটে), ইউরি তিলেমানস (৪৬ ও ৭০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে), আর্থার থিয়েটে (৬০ মিনিটে), কেভিন ডি ব্রুইনা (৬২ মিনিটে), ম্যালিক ফোফানা (৯১ মিনিটে)। এদিকে, তুরস্ক ৩-২ গোলে জর্জিয়াকে ও নর্দান আয়ারল্যান্ড ৩-১ গোলে লুক্সেমবার্গকে হারিয়েছে।