সর্বশেষ ১৯৯৮ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর বছরের পর বছর খেলে গেলেও সিরিজ জয়ের সাফল্য আসছিল না। এবার ২৭ বছরের অপেক্ষার অবসান হলো তাদের। স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে ৫ রানের রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে প্রোটিয়ারা। এতে এক ম্যাচ আগেই ওয়ানডে সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করল তারা। দক্ষিণ আফ্রিকার এই সাফল্যের নায়ক ম্যাথু ব্রিটস্কি। দলের জয়ে এবার ৮৫ রানের ইনিংস খেলে অবদান রাখে এই ব্যাটসম্যান। লর্ডসে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেটে ৩৩০ রান তুলে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ৯ উইকেটে ৩২৫ রানে থেমে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস। এ নিয়ে ২০২৩ বিশ্বকাপের পর থেকে ছয়টি দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজের পাঁচটিতেই হেরে গেল ইংল্যান্ড। এই বছর ১১ ওয়ানডে ম্যাচের ৮টিতে হারল তারা।
গত জুনে লর্ডসে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ২৭ বছর পর কোনো আইসিসি ট্রফি জয়ের স্বাদ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখানেই এবার ২৭ বছরের আরেক অপেক্ষার অবসান হলো তাদের। দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের নায়ক ব্রিটস্কি ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৭৭ বলে ৮৫ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা হয়েছেন। ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্যারিয়ারের প্রথম পাঁচ ইনিংসেই পঞ্চাশ ছোঁয়ার কীর্তি গড়েন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ফিফটি করেন আরও একজন। ৬২ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন ট্রিস্টান স্টাবস।
সঙ্গে ডেওয়াল্ড ব্রেভিসের ঝোড়ো ও কর্বিন বশের ক্যামিও ইনিংসে বড় পুঁজি পায় প্রোটিয়ারা। জবাবে ইনিংসের প্রথম বলে উইকেট হারালেও জো রুট, জ্যাকব বেথেল ও জস বাটলারের ফিফটি লড়াইয়ে রাখে ইংল্যান্ডকে। উইল জ্যাকস দলকে তিনশর কাছে নিয়ে ফেরার পর শেষদিকে অবিশ্বাস্য কিছুর আশা জাগান জফ্রা আর্চার। শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। বাঁহাতি স্পিনার সেনুরান মুথুসামির প্রথম দুই বলে এক রানের পর, তৃতীয় ও পঞ্চম বলে চার মারেন আর্চার। ম্যাচ সুপার ওভারে নিতে শেষ বলে মারতে হতো ছক্কা। বেরিয়ে এসে ঠিকমতো খেলতে পারেননি আর্চার, নিতে পারেন এক রান।