চলমান ফিফা উইন্ডোতে নেপালের বিপক্ষে দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচের প্রথমটিতে দুদল গোলশূন্য ড্র করেছে। আজ একই ভেন্যু কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ ও নেপাল দলের। দুদলের লড়াইয়ে আগের দিন গতকাল উত্তাল হয়ে উঠে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু। দুর্নীতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো বন্ধ করে দেওয়ায় নেপাল সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে ছাত্র-জনতা। এ কারণে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ও নেপাল ম্যাচ বাতিল ঘোষণা করে নেপাল ফুটবল ফেডারেশন (আনফা)। নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র সুরেশ শাহ অনুশীলন বাতিলের খবর নিশ্চিত করেছেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আনফা জানায়, সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে এবং দুদলের ফুটবলারদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সরকার ম্যাচটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত দিয়েছে। যে কারণে আগামীকাল (আজ) দশরথ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যকার দ্বিতীয় ফিফা প্রীতি ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।
জেন-জির বিক্ষোভের মুখে গতকাল হোটেল থেকেই বের হতে পারেননি বাংলাদেশের ফুটবলাররা। পরিস্থিতি অস্বাভাবিক দেখে অনুশীলন স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। এক বিজ্ঞপ্তিতে বাফুফে জানায়, নেপালের বিপক্ষে দ্বিতীয় ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচকে সামনে রেখে গতকাল বেলা ৩টায় দশরথ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ জাতীয় দলের অনুশীলন ছিল। তবে অনিবার্য কারণবশত অনুশীলন সেশনটি স্থগিত করা হয়। এরপর নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।
নেপালে বিক্ষোভ-সহিংসতায় অনেক নিহত ও আহতের খবর পাওয়া গেছে। কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, নেপালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের প্রতিবাদ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তরুণেরা বিক্ষোভ করেন। তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধা পেরিয়ে পার্লামেন্ট প্রাঙ্গণে ঢুকে পড়েন। তখন বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল, জলকামান, রাবার বুলেট ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ। স্টেডিয়ামের আশপাশে নাকি শিক্ষার্থীরা অবরোধ করেছে।
এদিকে, সম্প্রতি নেপালের দশরথ স্টেডিয়ামকে নিষিদ্ধ করেছে ফিফা ও এএফসি। প্রায় দুই বছর ধরে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের কোনো ম্যাচ হয়নি এ মাঠে। ঝুঁকিপূর্ণ মাঠে প্রীতি ম্যাচ হতে বাধা না থাকলেও এখানে খেলে চোটের পড়ার আশঙ্কা থাকবেই। সেটি টের পাওয়া গেছে প্রথম ম্যাচেই। নেপাল ফুটবল ফেডারেশন থেকে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশ এ মাঠে খেলতে সম্মতি দিয়েছে বলেই ফিফা আপত্তি জানায়নি। তবে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ম্যানেজার আমের খান বললেন অন্য কথা। তিনি বলেন, ‘আমার জানা মতে, আমাদের ফেডারেশনের কেউই এ মাঠে এসে ভিজিট করেনি।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন