ঢাকা বুধবার, ০১ অক্টোবর, ২০২৫

এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব

হংকং ম্যাচে জয়ের লক্ষ্য জামালদের

স্পোর্টস রিপোর্টার
প্রকাশিত: অক্টোবর ১, ২০২৫, ০১:১৮ এএম

এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে আগামী ৯ ও ১৪ অক্টোবর হংকং চায়নার বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচটি হবে জাতীয় স্টেডিয়ামে, পরের ম্যাচ হংকং চায়নার মাঠে। এরই মধ্যে বাছাইপর্বের জন্য ২৯ ফুটবলারকে ক্যাম্পে ডেকেছেন বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু হয়েছে। গত জুনে জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে সিঙ্গাপুরের কাছে ২-১ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। এমফ ম্যাচ ঘিরে দেশের ফুটবলে অনেক হাইপ উঠেছিল। তবে কাক্সিক্ষত জয় পাননি হামজা চৌধুরীরা। এবার ঘরের মাঠে হংকংয়ের বিপক্ষে আরেকটি বড় ম্যাচ খেলবে তারা। এই ম্যাচ জয়ে রাঙিয়ে দেওয়ার লক্ষ্য থাকবে জামালদের।

এশিয়ান কাপ বাছাই পেরিয়ে চূড়ান্ত পর্বে ওঠার বাংলাদেশের যেমন আশার জায়গা আছে, তেমনি আছে শঙ্কাও। কেননা, ‘সি’ গ্রুপে সিঙ্গাপুর ও হংকং-চায়নার পয়েন্ট ৪ করে। ভারত ও বাংলাদেশের অর্জন পয়েন্ট সমান ১। তাই হংকংয়ের বিপক্ষে সামনের দুটি ম্যাচ বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ক্যাম্পে যোগ দিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া সতীর্থদের মনে করিয়ে দিলেন, হংকংয়ের বিপক্ষে জিততে হলে সেরাটা নিংড়ে দেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। জামালের ভাবনায় আপাতত ৯ অক্টোবর ঘরের মাঠে হংকং ম্যাচ। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘সবাই সুস্থ আছে এবং প্রস্তুত আছে বলে আমি মনে করি। পরের ম্যাচ আমাদের জন্য ডু অর ডাই। সত্যি বলতে, আমরা পরের ম্যাচে যদি হেরে যাই, তাহলে কোয়ালিফাই করার আর সুযোগ থাকবে না। হংকং চায়নার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ ৯ তারিখে। আমি মনে করি, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ।’ তিনি আরও বলেন, ‘আশা করি, আমরা সেরা পারফরম্যান্স দিতে পারব। কারণ, সমর্থকে পূর্ণ স্টেডিয়াম আমাদের পক্ষে থাকবে। আর এটা ৩ পয়েন্টের ব্যাপার, সেটা আমরা নিতে চাই। হোম ম্যাচে একটা সুবিধা থাকে। ফুটবল এমন খেলা, যারা প্রস্তুত থাকবে, তারাই জিতবে; যারা প্রস্তুত থাকবে না, তারা জিততে পারবে না। হংকং-চায়নাকে হারাতে আমাদের সেরাটা দিতে হবে।’

জাতীয় দলে প্রবাসী খেলোয়াড়ের অন্তর্ভুক্তিতে দেশের ফুটবলে আগ্রহ বেড়েছে দর্শকের। বিশেষ করে দেওয়ান হামজা চৌধুরী, শমিত সোম, ফাহামিদুল ইসলামের মতো প্রবাসীরা বাংলাদেশের জার্সি গায়ে খেলছেন। ফুটবল উন্মাদনা কাজে লাগাতে চান জামালরা। তবে মাঠের খেলায় গোল পাওয়া, প্রতিপক্ষের গোল আটকানো যে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ, এই কাজগুলোও দল ঠিকঠাক করবে বলে আশাবাদী জামাল। তিনি বলেন, ‘সবাই জানে, যারা ফুটবল অনুসরণ করে, বাংলাদেশের সমস্যা হলো শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে আর গোলের সামনে থেকে গোল করতে পারি না। তবে যারা সামনে খেলছে, ওরা ভালো করার চেষ্টা করছে। আমরা চাই ভালো স্ট্রাইকার আসুক দলে। তবে সবকিছুর শেষে আমরা ৩ পয়েন্ট নিতে চাই এই ম্যাচে, এটাই বড় কথা।’ তিনি আরও বলেন, ‘আসলে আমিও অনুভূব করছি যে ফুটবলের চেহারা পাল্টে গেছে। এখন আমি যেখানে যাই, সেখানে শুনি, আমাকে বলেÑ ভাই পরের ম্যাচ জিততে হবে। মনে হয়, সবার মাথায় আছে বা তারা দেখছে আমাদের। আমি যখন শুরুর দিকে আসি, তখন এমনটা ছিল না।’

এবার হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচের ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী জায়ান আহমেদও। এই ফুটবলারকে ঘিরেও আশাবাদী বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল। তিনি বলেন, ‘জায়ানের ব্যাপারে আমি শুনেছি, পরে দেখলাম অনূর্ধ্ব-২৩ দলে অনেক ভালো করছে। সে-ও বাইরে থাকে, এখন বাংলাদেশে আসছে। আমি তাকে নিয়ে খুশি।’ অন্যদিকে, নবাগত জায়ান ও জাতীয় দলে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা কিউবা মিচেলকে ঘিরে আশাবাদী বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। তিনি বলেন, ‘জায়ানের প্রোফাইলটা (সামর্থ্য) আমরা দেখতে চাই। আমি নিজে দেখতে চাই জাতীয় দলের সঙ্গে সে কেমন করে। অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে ভালো পারফরম্যান্স করেছে। এমন একটি পজিশনে খেলে, যেখানে আমরা বিশ্বাস করি সে বাড়তি কিছু দিতে পারবে।’ কাবরেরা আরও বলেন, ‘কিউবার প্রতিভা ও সামর্থ্য নিয়ে আমি ইতিবাচক। তবে ওর আরও কিছুটা সময় দরকার।’