ঢাকা সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫

বাংলাদেশ-উইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি সিরিজ

চ্যালেঞ্জ নিয়ে খেলতে চান লিটন

মাঠে ময়দানে প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২৫, ০২:৫৬ এএম

আজ থেকে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। আসন্ন এই সিরিজে চ্যালেঞ্জ নিয়েই খেলতে চান বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। একপেশে নয়, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সিরিজ দেখতে চান তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেও ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে লিটন জানালেন, সামনের ছয় ম্যাচেই কঠিন লড়াই দেখতে চান তিনি।

বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন বলেন, ‘আমি দুইটা সিরিজে চাই, যেন আমাদের খেলোয়াড়েরা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। সেটা ব্যাটিংয়ে হতে পারে, বোলিংয়েও হতে পারে। আমি মনে করি, এই ছয়টা ম্যাচে আমরা যতটা পিছিয়ে থাকব, ততটাই ভালো। ব্যাকফুটে থাকবÑ এর অর্থ চ্যালেঞ্জের কথা বলছি। এই না যে আমরা ম্যাচে পিছিয়ে থাকব। আমি চাই, বোলাররা যখন বল করবে, তখন যেন চাপ থাকে। যে জিনিসগুলো ভবিষ্যৎ মানে সামনে যেহেতু বিশ^কাপ, সেখানে আমাকে সাহায্য করবে।’ সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপে শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস ও নেপালের বিপক্ষে জিতেছিল বাংলাদেশ। আগের যেকোনো বছরের চেয়ে চলতি বছর সবচেয়ে বেশি চার সিরিজ জয়ের অভিজ্ঞতা হয়েছে বাংলাদেশের। দলের এমন বদলকে লিটন দেখছেন ভালো উইকেটে ভালো ক্রিকেট খেলার ফল হিসেবে। তিনি বলেন, ‘পার্থক্য তেমন কিছু না। এখন আমরা চেষ্টা করছি ভালো উইকেটে খেলার জন্য। আপনি যখনই ভালো উইকেটে খেলবেন। ব্যাটারদের সফল হওয়ার সুযোগটা বেশি থাকবে। দলে যত ক্রিকেটার আছে, ৬ থেকে ৭ পর্যন্ত যত ব্যাটার আছে, তাদের মধ্যে আমার ছয়ের সংখ্যা কম। দলের এখন বেশির ভাগ ক্রিকেটারই বড় বড় ছয় মারতে পারেন। এটা বাংলাদেশ দলের জন্য ইতিবাচক দিক। কিন্তু একই সঙ্গে ক্রিকেট শুধু ছয়ের ওপর দিয়ে গেলে হবে না। যদি প্রয়োজন হয় ছক্কা মারবে, অন্যথায় প্রয়োজন পড়লে ১ বা ২ রানের দিকেও যেতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সংস্করণভেদে না ক্রিকেটারের মানসিকতা বলেন বা আগ্রাসনটা একটু পরিবর্তন হয়ে যায়। উইকেট-ভেদেও হয়, সংস্করণভেদেও হয়। তাই আমার মনে হয়, যেহেতু এই সংস্করণটা খেলোয়াড়েরা জানে, অনেক দিন ধরে খেলছে এবং বেশির ভাগ খেলোয়াড় সফল হয়েছে। তো তারা জানে যে কোন ঘরানার ক্রিকেট খেললে এখানে সফল হওয়া যাবে।’ মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিনকে বাংলাদেশ দলের বড় সম্পদ মনে করেন লিটন। পাশাপাশি নতুন খেলোয়াড় তৈরি করতে হবে, সে বিষয়ও মাথায় রাখতে চান তিনি। লিটন বলেন, ‘আমরা কিছু কিছু ম্যাচে তাসকিনকে বিশ্রাম দিয়ে অন্য খেলোয়াড়দের খেলাচ্ছি।

কারণ একই সঙ্গে যদি তাসকিনকে হারিয়ে ফেলি, তাহলে পরবর্তী সময়ে যেন এমন না হয় যে আমরা পুরোপুরি তার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি। অবশ্যই তাসকিন আর ফিজ বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় সম্পদ। কিন্তু একই সময়ে আমাদের ধীরে ধীরে নতুন খেলোয়াড়ও তৈরি করতে হবে।’ তাসকিন ও মোস্তাফিজের মতো তারকার ভিড়ে বাংলাদেশের বাকি পেসাররাও খেলার সুযোগ পাচ্ছে, তাতে খুশি লিটন। তিনি বলেন, ‘আমার প্রথম টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর যখন সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে খেললাম, আমাদের কিন্তু দুইটা বেস্ট বোলার ছিল না, তাসকিনও ছিল না, ফিজও ছিল না। আমরা স্ট্রাগল করেছি, কিন্তু একই সময়ে যে প্লেয়ারগুলো খেলেছে, তারা ম্যাচ পেয়েছে।’ তাসকিনের ইনজুরি নিয়ে লিটন আরও বলেন, ‘আমি চাই তাসকিন যেন পুরোপুরি ফিট হয়ে যায়। আশা করি, সে আর যেন কখনো ইনজুরিতে না পড়ে। আর প্লেয়াররা যখন খেলছে, এটা একটা ভালো সাইন। একজন অধিনায়ক হিসেবে আমার জন্য এটা বড় পাওয়া। আমার যতজন খেলোয়াড় আছে, সবাই প্রস্তুত। যেন ভবিষ্যতে কোনো খেলোয়াড় ইনজুরিতে পড়লে দল নিয়ে আমি বিপাকে না পড়ি।’