আগামী বৃহস্পতিবার ভারতের গোয়ায় শুরু হবে ফিদে ওয়ার্ল্ডকাপ দাবা। এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাওয়া আন্তর্জাতিক মাস্টার মনন রেজা নীড় দাবা ফেডারেশনের বিরুদ্ধে আর্থিক বিষয়ে গুরুতর অভিযোগ করেছেন। গত সোমবার নিজের ফেসবুক পেজে এই দাবাড়– বলেছেন, ‘আমি ও মোহাম্মদ ফাহাদ রহমানের বিশ^কাপে অংশগ্রহণের জন্য দাবা ফেডারেশন ১৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা চেয়ে চিঠি দিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে। বাস্তবে আমরা দেড় লাখ টাকা করে দুজনে ৩ লাখ টাকা পেয়েছি।
যদি আমাদের অংশগ্রহণের জন্য এই অর্থ ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে চাওয়া হয়ে থাকে, তাহলে খেলোয়াড়দের মাত্র ৩ লাখ টাকা দেওয়া হলো কেন? বাকি টাকা কোথায় গেল?’ নীড় ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ফেডারেশন বলছে যে টাকা এখনো পাওয়া যায়নি, যা সম্পূর্ণ রসিকতা বলে মনে হচ্ছে। কারণ, যদি না পাওয়া যায়, তাহলে ৩ লাখ টাকা কোথা থেকে এলো? যদি সত্যিই তাই হয়, তাহলে আমি ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনকে মাত্র ৩ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৪ লাখ টাকা দেওয়ার অনুরোধ করছি। কারণ আমরা এটাই পেয়েছি। বিশ^মঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী খেলোয়াড় হিসেবে, আমরা স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এবং সম্মানের দাবিদার। দাবা খেলোয়াড়েরা এই খেলার জন্য তাদের জীবন উৎসর্গ করে, প্রায়শই ন্যূনতম সমর্থনের সঙ্গে। তবু আমরা আমাদের দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনছি।
এটা কেবল অর্থের ব্যাপার নয়, এটি আমাদের ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানের সততা ও ন্যায্যতা সম্পর্কে। আমি আমার সব সহকর্মী, খেলোয়াড়, দাবাপ্রেমী এবং নাগরিকদের আন্তরিকভাবে অনুরোধ করছি এই পোস্ট শেয়ার করার এবং বাংলাদেশি খেলাধুলায় স্বচ্ছতার জন্য আপনাদের আওয়াজ তোলার জন্য। আর আমি গণমাধ্যমকে বিষয়টির প্রতি মনোযোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। কারণ, আজ যদি আমরা চুপ থাকি, তাহলে পরবর্তী প্রজন্মের খেলোয়াড়েরাও একই অবহেলা ও অবিচারের মুখোমুখি হবে। বাংলাদেশ আরও ভালো কিছুর যোগ্য এবং এর খেলোয়াড়েরাও তাই।’ এ বিষয়ে বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ড. মো. তৈয়বুর রহমান জানান, ‘কোনো তথ্য না জেনেই এমন একটি পোস্ট দিয়েছে। মনন রেজা যে চিঠিটি পোস্টের সাথে দিয়েছে, সেটা মন্ত্রণালয়ে চাওয়া জিওর চিঠি।
তার আগে আমরা বাজেটসহ অর্থ চেয়ে চিঠি দিয়েছিলাম। আর টাকা আমরা এখনো পাইনি। আমরা যে বাজেট উল্লেখ করে সরকারের কাছে অর্থ চেয়েছিলাম, সেখানে সবকিছু পরিষ্কার করে উল্লেখ করে কোচের বেতনসহ সব খাত। ফেডারেশনের বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা অভিযোগ করায় মনন রেজা নীড়কে শোকজ না করে উপায় নেই। তাকে ফেসবুক স্ট্যাটাস ডিলেট করতে বলেছি।’
