এশিয়ান আরচারি চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের স্বপ্ন কুলসুম আক্তার মনিকে ঘিরে। কম্পাউন্ড নারী এককের সেমিফাইনালে উঠেছেন ঠাকুরগাঁও থেকে উঠে আসা এই আরচার। কম্পাউন্ড মহিলা এককে ‘বাই’ পেয়ে ১/১৬তে ওঠা বাকি তিন আরচারের মধ্যে কুলসুম আক্তার মনিকে ঘিরে আশা বেঁচে আছে বাংলাদেশের। কুলসুম আক্তার ইরানের ফাতিমা বাঘেরিকে ১৪৫-১৪৩ স্কোরে হারানোর পর ভারতের দ্বীপশিখাকে ১৪২-১৪০ ব্যবধানে হারান। কোয়ার্টার-ফাইনালে কুলসুম কাজাখস্তানের ইউনুসোভা রোক্সানার বিপক্ষে জেতেন ১৪৬-১৪৪ পয়েন্টে। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে আগামী বৃহস্পতিবার তিনি মুখোমুখি হবেন ভারতের প্রদীপ প্রিথিকার। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে আগামী বৃহস্পতিবার তিনি মুখোমুখি হবেন ভারতের প্রদীপ প্রিথিকার। সেমিফাইনালে ভালো কিছু করার আশাবাদ জানিয়ে কুলসুম বলেন, ‘আমার ইভেন্ট থেকে সতীর্থরা সবাই বিদায় নিয়েছে, তবে আমি টিকে আছি বলে কোনো চাপ অনুভব করছি না। চাপ কেন নেব? এতদিন আমরা পরিশ্রম করেছি একটা কিছু পাওয়ার জন্যই। তাই সেমিফাইনালেও আমি নিজের স্বাভাবিক খেলাটাই খেলার চেষ্টা করব। এই পতাকার (জার্সিতে বাংলাদেশের পতাকার লোগো দেখিয়ে) জন্যই খেলি, নিজের দেশের হয়ে খেলা আলাদা শান্তি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হতে চাই না। হাইলাইট হতে চাই না। আমাকে হাইলাইট হতে হবে নিজের যোগ্যতা দিয়ে, আমার সাফল্য দিয়ে। নিজের যোগ্যতা দিয়ে যখন জানবে, তখন সারা পৃথিবী জানবে আমাকে।’ রিকার্ভ পুরুষ এককে হতাশই হতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ‘বাই’ পেয়ে ১/২৪-এর ম্যাচে চাইনিজ তাইপের লিউ তাই ইয়েনকে ৬-৪ সেট পয়েন্টে (২৫-২৬, ২৬-২৬, ২৮-২৭, ২৮-২৮, ২৭-২৯) হারিয়ে ভালো শুরু পেয়েছিলেন রাকিব মিয়া। ১/১৬-এর লড়াইয়ে ভারতের সঞ্জয় ইয়াশদিপ ভোগেকে ৬-৪ সেট পয়েন্টে (২৮-২৯, ২৫-২৬, ২৭-২৪, ২৯-২৮, ২৭-২৯) হারিয়ে ১/৮-এর মঞ্চে উঠে ভালো কিছুর আশা জাগিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার জ্যাং চায়েওয়ানের কাছে ৬-৪ সেট পয়েন্টে (২৯-২৯, ২৬-২৬, ২৯-২৮, ২৬-২৯, ২৭-২৯) হেরে বিদায় নেন রাকিব।
শুরুতে আনন্দ থাকলেও শেষটা নিয়ে হতাশ রাকিব বলেন, ‘ভারতের আরচারকে হারানোর পরও আমি ভেবেছি, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী আমি নিজেই। তবে আত্মবিশ্বাস বেড়েছিল। শেষটা নিয়ে সন্তুষ্ট নই, মোটামুটি পারফর্ম করেছি বলব। আসলে দক্ষিণ কোরিয়ানরা তো আমাদের চেয়ে ভালো। মূলত তাদের সাথে আমাদের মানসিক সামর্থ্যরে তফাত আছে। আমরা যথেষ্ট পরিশ্রম করি, তবে মানসিক শক্তি বাড়াতে পারলে আমরা আগামীতে আরও ভালো করতে পারব।’
রিকার্ভ এককে বাংলাদেশের আব্দুর রহমান আলিফ ১/২৪-এ মালয়েশিয়ার মুহাম্মাদ হাইকাল দানিশ শিয়ামসুল আফান্দিকে ৬-৫ সেট পয়েন্টে (২৭-২৯, ২৭-২৭, ২৫-২৭, ৩০-২৮, ২৯-২৩) হারান। এরপর ১/১৬তে দক্ষিণ কোরিয়ার (ঔধহম ঔরযড়) জ্যাং জিহোর বিপক্ষে আলিফ জেতেন ৬-৫ সেট পয়েন্টে (২৭-২৮, ২৮-২৭, ২৪-৩০, ২৯-২৬, ২৬-২৬)। কিন্তু কাজাখস্তানের আবদুলিন ইলফাতের কাছে ৭-৩ সেট পয়েন্টে (২৮-২৭, ২৭-২৯, ২৭-২৮, ২৯-২৯, ২৯-৩০) হেরে ১/৮-এর মঞ্চ থেকে ঝরে যান আলিফ।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন