এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের শুরুটা দারুণ হয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল দলের। গতকাল শনিবার চীনের চংকিনে ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যেও বাংলাদেশের ফুটবলাররা দুর্দান্ত খেলা উপহার দিয়েছেন। ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে তিমুর-লেস্তেকে ৫-০ গোলে হারিয়েছে তারা। বাংলাদেশের পক্ষে মানিক জোড়া গোল করেন। রিফাত কাজী, বায়েজিদ বোস্তামি ও আকাশ মাহদু ১টি করে গোল করেন। বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ ২৪ নভেম্বর ব্রুনাইয়ের বিপক্ষে।
ম্যাচের ১১ মিনিটে বাংলাদেশ লিড নেয়। মানিকের দুর্দান্ত ক্রস থেকে দক্ষতার সঙ্গে হেড দিয়ে গোল করেন রিফাত কাজী। ২৮ মিনিটে ফয়সালের ফ্রিকিক থেকে মানিক বাঁ পায়ের শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। প্রথমার্ধের বিরতির আগে তিমুর-লেস্তের বক্সে জটলার মধ্যে মানিক জোরালো শটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন। বিরতির পরও বাংলাদেশের গোলের ধারা চলমান ছিল। দ্বিতীয়ার্ধের চতুর্থ মিনিটেই আজাদের দারুণ পাস থেকে বায়েজিদ বোস্তামি ঠান্ডা মাথায় বল জালে পাঠান। ৪ গোলে পিছিয়ে পড়া তিমুর-লেস্তে আর খেলায় ফিরতে পারেনি। উল্টো ৮৮ মিনিটে আকাশের দূরপাল্লার শট থেকে বাংলাদেশ ৫-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। বড় জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করায় বেশ তৃপ্ত বাংলাদেশের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। বাফুফে থেকে পাঠানো ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘খেলোয়াড়েরা পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পেরেছে, এ জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। প্রথম মিনিট থেকেই হাই প্রেসিং ও বিল্ডআপ ফুটবল খেলেছে। আমাদের লক্ষ্য ছিল শুরুতেই গোল আদায় করা।’ এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ টুর্নামেন্টের বাছাইয়ে বাংলাদেশ ‘এ’ গ্রুপে রয়েছে। স্বাগতিক চীনের পাশাপাশি ব্রুনাই, তিমুর-লেস্তে, শ্রীলঙ্কা এবং বাহরাইনও আছে একই গ্রুপে। এই গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দলই আগামী বছর সৌদি আরবে মূল পর্বে খেলবে। ১৬ দল নিয়ে হবে এশিয়ান কাপের মূল পর্বের খেলা। এরই মধ্যে ৯ দল মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে, বাকি ৭ দল বাছাইপর্ব থেকে যাবে। এশিয়ান কাপে এখন পর্যন্ত অনূর্ধ্ব-১৭ পর্যায়ে দুবার আর অনূর্ধ্ব-১৬ পর্যায়ে চারবার অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। কোনোবারই গ্রুপ পর্ব পেরোতে পারেনি। সর্বশেষ ২০০৬ সালে বাছাই পেরোলেও মূল পর্বে তিন ম্যাচের তিনটিতেই হেরেছে। ২০২০ সালে বাছাই হলেও করোনার কারণে মূল টুর্নামেন্ট হয়নি। ২০১৪ সালে টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেয় বাংলাদেশ।

