ঢাকা রবিবার, ০৪ মে, ২০২৫

আদমদীঘিতে লেপ-তোশকের দোকানে বেড়েছে কারিগরদের ব্যস্ততা

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৯, ২০২৪, ০৬:২০ পিএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

 শীতের আগমনী বার্তায় বগুড়ার আদমদীঘিতে লেপ-তোশক তৈরিতে দোকানে ব্যস্ততা বেড়েছে কারিগরদের। শীত নিবারণের জন্য আগাম প্রস্ততি হিসেবে লেপ-তোশক বানাতে ক্রেতারা ভিড় করছে দোকানগুলোতে। অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীত মৌসুমে লেপ ও তোষকের চাহিদা থাকে অনেক বেশি। এজন্য অনেক ব্যবসায়ী সেটি মাথায় রেখে অগ্রিম লেপ তোশকের সরঞ্জাম দোকানে বেশি করে মজুত রাখছেন। এছাড়া অনেক কারিগর নতুন লেপ-তোশক তৈরির পাশাপাশি পুুরোনো লেপ তোষক মেরামতেও ব্যস্ত সময় পাড় করছেন।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) আদমদীঘি ও সান্তাহার শহরের বেশ কয়েকটি লেপ-তোশকের দোকান ঘুরলে কারিগরদের ব্যস্ততা দেখা যায়। বর্তমানে দেশে ভোরে ও সন্ধ্যা-রাত থেকে শীত অনুভূত হচ্ছে। অনেকেই শীত নিবারণের জন্য সকালে ও রাতে গায়ে সোয়েটার ও চাঁদর জড়াচ্ছেন। শীতে রাতে বিছানায় টেনে নিতে হচ্ছে কাঁথা-কম্বল ও লেপের। এবার বাজার গুলোতে কার্পাস তুলা প্রতি কেজি ২০০ টাকা, কালো সুতির তুলা প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৫০ টাকা, কালো রাবিশ তুলা প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৫০ টাকা, সাদা তুলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

আদমদীঘি বাজারের মেহেদী বেডিং ষ্টোর স্বত্বাধিকারী রুবেল হোসেন জানান, গতবারের তুলনায় এবার লেপ-তোষক তৈরির জিনিসপত্রের দাম অনেক বেশি। পাশাপাশি কাপড়ের দামও বেড়েছে প্রতি গজে ১০ টাকা। আমার দোকানে প্রতিদিন ৮থেকে ১০টি লেপের অর্ডার পাচ্ছি। একটি লেপ তৈরি করতে প্রকারভেদে খরচ হয় ১হাজার ৮০০ থেকে ২হাজার টাকা এবং একটি তোশক তৈরি করতে খরচ হয় ৩হাজার থেকে ৪হাজার টাকা।

উপজেলার মুরইল বাজারের তানিয়া বেডিং ষ্টোরের প্রোপাইটর তারিকুল ইসলাম জানান, এখন আমাদের লেপ-তোষক তৈরিতে সময় যাচ্ছে। আগামীতে শীত যত বেশি হবে ততই আমাদের বেচা বিক্রিও বেড়ে যায়।

লেপ কিনতে আসা জিনইর গ্রামের পারুল বেগম জানায়, বাজারে প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এবার লেপ-তোশক তৈরির খরচও বেড়েছে। নতুন একটি লেপ তৈরি করতে মজুরি-সহ আমার ১হাজার ৮০০ টাকা খরচ হয়েছে।