শুক্রবার, ০২ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


শাহজাহান চৌধুরী শাহীন,  কক্সবাজার

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪, ০২:২৯ পিএম

নিজ দেশে ফিরে যেতে প্রস্তুত রোহিঙ্গারা

শাহজাহান চৌধুরী শাহীন,  কক্সবাজার

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪, ০২:২৯ পিএম

নিজ দেশে ফিরে যেতে প্রস্তুত রোহিঙ্গারা

ছবি: সংগৃহীত

বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা শরনার্থী জীবন থেকে নাগরিক অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হলে তাদের স্বদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতারা। তারা বলেন, শরণার্থী জীবন আর নয়, আমরা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চাই।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় সাধারণ রোহিঙ্গাদের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১ এর ওয়েস্ট মাঠে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তারা। এসময় সমাবেশে জনসমুদ্রে পরিনত হয়।

এর আগে  এদিন ভোর থেকেই বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গারা জড়ো হতে থাকে সমাবেশের ‍উদ্দেশ্যে। এসময় বিভিন্ন রোহিঙ্গা নেতার বক্তব্যে আকুতি ছিল শরণার্থী জীবন আর নয়, আমরা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চাই।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শান্তি- শৃঙ্খলা বজায় রাখা সহ সম্প্রতি মিয়ানমারের রাখাইনে আরকান আর্মির শক্তিশালী অবস্থানের প্রতিক্রিয়ার কথাও তুলে ধরা হয় সমাবেশে।

তারা বলেন, মিয়ানমারের জান্তা সরকার রোহিঙ্গাদের ওপর যে গণহত্যা করেছিলো তার সঠিক ন্যায় বিচার চাই। সেই সাথে রোহিঙ্গা জনগণের নাগরিক  অধিকার ও নিরাপত্তা এবং মর্যাদা পুর্ণ প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থার বিষয়ে সমাবেশে দাবী করা হয়েছে।

রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প-১ ওয়েস্টের ই/৬ ব্লক সংলগ্ন মফিজের মাঠে রোহিঙ্গা নেতা দীল মোহাম্মদের নেতৃত্বে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলা  সমাবেশে রোহিঙ্গা নেতা আবু আলম, আব্দুল রহিম, মৌলভি জুবায়ের, মৌলভি রহমত করিম, আনোয়ার সাদেক, মাস্টার মুজিব এবং দীল মোহাম্মদ বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও বিভিন্ন রোহিঙ্গা গ্রুপ ভিত্তিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে রোহিঙ্গারা তিনটি বিষয়বস্তুর উপর জোর দেন।  এগুলো হলো-

উখিয়া-টেকনাফ সকল মাদ্রাসার মুফতি ও ওলামায়ে কেরামরা সকল রোহিঙ্গাদের ইত্তেফাক ও ইত্তেহাদের (ঐক্য) লক্ষ্যে একতাবদ্ধ হওয়ার ঘোষণা দেন।  প্রত্যাবাসন মোকাবেলায় সকলকে উদ্বুদ্ধ করা এবং নিজ দেশ মায়ানমারে প্রত্যাবর্তন বিষয়ে বিশদ আলোচনা করা।  দেশে ফেরত যাওয়ার ব্যাপারে যথোপযুক্ত উদ্যোগ গ্রহণ করা। নিজ দেশ মিয়ানমার আজাদের জন্য রক্ত বিসর্জন দিতে হলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নয় বরং আরাকানে গিয়ে রক্ত দিয়ে আরাকান স্বাধীন করতে হবে।

আরবি/জেআই

Link copied!