বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০২৫, ০২:৩১ পিএম

ঈশ্বরদীতে রমজান ঘিরে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০২৫, ০২:৩১ পিএম

ঈশ্বরদীতে রমজান ঘিরে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

পাবনার ঈশ্বরদীতে পবিত্র রমজানকে ঘিরে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। গত বৃহস্পতিবার রমজানকে সামনে রেখে ব্যবসায়ী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক সুবীর কুমার দাস।

মতবিনিময় শেষে ইউএনও সাংবাদিকদের নিয়ে বাজার পরিদর্শনে যান। এ সময় তিনি দোকানদারদের সতর্ক করে বলেন, রাস্তার ওপর মালপত্র রেখে জনসাধারণের চলাচলে কোনো প্রকার বিঘ্ন সৃষ্টি করা যাবে না। পাশাপাশি রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।

কিন্তু শনিবার প্রধান বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রমজানকে ঘিরে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় ব্যস্ত ক্রেতারা, তবে অভিযোগ সেই পুরনো, বাড়তি দাম আর সরবরাহ সংকট। দীর্ঘদিন ধরে ভোজ্যতেলের সরবরাহ স্বাভাবিক না হওয়ায় ঈশ্বরদীর সয়াবিন তেলের বাজার এখনো অস্থির।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, কোম্পানির ডিলাররা পর্যাপ্ত তেল সরবরাহ করছেন না, বরং বোতলজাত সয়াবিনের সঙ্গে অন্যান্য পণ্য কিনতে বাধ্য করছেন। এতে সংকট আরও বাড়ছে।

রমজানে ইফতারের অন্যতম উপকরণ শসা, লেবু ও বেগুনের দামও বেড়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এক হালি লেবুর দাম ১৫-২০ টাকা থেকে বেড়ে ৭০ টাকা হয়েছে। হাইব্রিড শসা ৪০-৫০ টাকায়, দেশি শসা ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১০-২০ টাকা বেশি। বেগুনের কেজি ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, ঈশ্বরদীর বাজারে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দামও বেড়েছে। বাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৯০-২১০ টাকা, আর সোনালি মুরগি ২৮০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছের দামেও ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। তবে খেজুর, চিনি, ছোলা, চিড়া, মুড়ি ও গুড়ের দাম তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে।

[36307

বাজারে কেন এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি? ব্যবসায়ীদের মতে, লেবুর মতো কিছু পণ্যের মৌসুম না থাকায় দাম বেশি। তবে তারা স্বীকার করেছেন, রমজান শুরুর আগে অতিরিক্ত চাহিদার কারণেও দাম বাড়ছে। অনেক ক্রেতাই প্রয়োজনের তুলনায় বেশি কেনাকাটা করছেন, ফলে বাজারে চাপ বাড়ছে।

তাদের মতে, রমজানের এক সপ্তাহ পরেই বাজার স্বাভাবিক হতে পারে। ক্রেতাদের অভিযোগ, সংযমের মাসে ঈশ্বরদীর ব্যবসায়ীদের অনিয়ন্ত্রিত দামবৃদ্ধির প্রবণতা
সাধারণ মানুষের জন্য ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিত্যপণ্যের দামে আগুন লাগায় তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, যা কোথায় গিয়ে থামবে, তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না।

আরবি/এসআর

Link copied!