ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

মাদকাসক্ত পুলিশ কনস্টেবল খালিদ এখনো বহাল তবিয়তে

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১১, ২০২৫, ০৬:৪৭ পিএম
কনস্টেবল খালিদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানার পাটিকাবাড়ি পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত কনস্টেবল খালিদ হোসেন। খুলনায় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিতর্কিত মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের সুপারিশে চাকরিপ্রাপ্ত কনস্টেবল খালিদ হোসেন।

চাকরি জীবনে শুরু থেকে এই কনস্টেবল বিতর্কিত এবং বেপরোয়া জীবন যাপনে অভ্যস্ত। ছাত্র জীবন থেকেই সে নারী কেলেংকারীতে জড়িত।

একের পর এক অপরাধ করেও প্রতিবেশী প্রভাবশালী আওয়ামী লীগের নেতা তালুকদার আব্দুল খালেক ও গোপালগঞ্জে শেখ মুজিবুর রহমনের বাড়ির কেয়ারটেকার আনোয়ার হোসেন আনুর প্রভাবে বহাল তবিয়তে চাকরিতে টিকে ছিলেন।

২০১৪ সালে বিয়ে করে ফারজানা ইয়াসমিন সুমিকে। এরপর একাধিক পরকীয়ায় জড়িয়ে ২০২১ সালে বিয়ে করে সোনিয়া  আক্তার নামের এক মেয়েকে। প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করায় কনস্টেবল খালিদ হোসেনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলায় গুরুদণ্ড হিসেবে তিন বছরের পদন্নতি বন্ধ করে অর্ডার প্রদান করে পুলিশের ডিসিপ্লিনারি শাখা।

এরপরও থেমে থাকেননি কনস্টেবল খালিদ বেপরোয়া জীবন যাপন। আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাব বিস্তার করে দিনের পর দিন অপকর্ম করে গেছেন। উচ্ছৃঙ্খল কনস্টেবল খালিদকে পুলিশের পোশাক পরিহিত অবস্থায় পুলিশ ক্যাম্পে বসেই ইয়াবা সেবন, মদপান ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাত কাটতে দেখা যায়।

সর্বশেষ ২০২৫ সালের ৮ জানুয়ারি অবৈধভাবে বিয়ে করেন নিপা খান ওরফে কথা মালাকে। তার বিরুদ্ধে প্রথম স্ত্রী ফারজানা ইয়াসমিন সুমির দায়েরকৃত মামলায় ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়েছে।

দ্বিতীয় স্ত্রী সোনিয়া আক্তার জানান, সে মাদক সেবন করে আমাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করত। তাই আমি থানায় একাধিক সাধারণ ডায়েরি, অভিযোগ ও মামলা দায়ের করেছি। অদৃশ্য শক্তির ইশারায় কনস্টেবল খালিদ এখনো বহাল তবিয়তে কর্মরত। তার বিরুদ্ধে অসদাচরণ, নারী কেলেংকারী, মাদক সেবনসহ বিভিন্ন গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
আমি চাই তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

এই কনস্টেবল খালিদ কুষ্টিয়ার মিরপুরের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আসলামের মাদক ব্যবসার অন্যতম বাহক।
বর্তমানে কতিপয় বিএনপি নেতার নাম পরিচয় ব্যবহার করে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। এত অভিযোগ থাকার পরেও এবং অবৈধ কালো টাকার বিনিময়ে কনস্টেবল খালিদ তদন্ত কার্যক্রম বিলম্বিত করছে।

সম্প্রতি ৮-০২-২০২৫ তারিখে সমস্ত তথ্য প্রমাণসহ তার দ্বিতীয় স্ত্রী সোনিয়া আক্তার পুলিশের মহাপরিদর্শক, ডিসিপ্লেনারী শাখা, পুলিশ সুপার কুষ্টিয়াসহ ৩১টি সরকারি দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন। যা দীর্ঘদিন ধরে তদন্তাধীন রয়েছে। উল্টো এই সকল অভিযোগের কারণে কনস্টেবল খালিদ অভিযোগকারীকে হুমকি প্রদান করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে কনস্টেবল খালিদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা হলে তিনি ফোন রিসিভি করনেনি।

এছাড়াও আইনের চোখে সে ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি। যার ওয়ারেন্ট এর স্মারক নং: ৪৪৫৯ মামলা নং-১৮/২০২৩ ওয়ারেন্ট জারির তারিখ-২৩-১১-২৩, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়ণগঞ্জ।