বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের সহকারী ব্যবস্থাপক ও চুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মনজিল হাসানের বিরুদ্ধে শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ এবং ছাত্রলীগের পরিচয় ব্যবহার করে কোম্পানিকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারীদের দাবি, তিনি আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখছেন।
গত ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিরাসারস্থ প্রধান কার্যালয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বরাবর লিখিত অভিযোগ জমা দেন কোম্পানির এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) নেতৃবৃন্দ। অভিযোগের সঙ্গে মো. মনজিল হাসানের ছাত্রলীগের পদে থাকার প্রমাণস্বরূপ বিভিন্ন নথিও সংযুক্ত করা হয়।
বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সভাপতি মো. নূর আলম ও সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার আহমদের স্বাক্ষরিত অভিযোগপত্রে বলা হয়, সহকারী ব্যবস্থাপক মনজিল হাসান দীর্ঘদিন কম্প্রেসর অ্যান্ড জেনারেটর ডিভিশনের কম্প্রেসর মেকানিক্যাল মেইনটেন্যান্স শাখার শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে আসছেন।
তারা একাধিকবার ভদ্রভাবে আচরণ করতে অনুরোধ করলেও তিনি কর্ণপাত করেননি। ফলে মানসিকভাবে অতিষ্ঠ হয়ে কর্মচারীরা এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের দ্বারস্থ হন।
পরবর্তীকালে ইউনিয়ন নেতারা সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টের উপ-মহাব্যবস্থাপকের সঙ্গে দেখা করতে গেলে সহকারী ব্যবস্থাপক মনজিল হাসানের সঙ্গেও তাদের দেখা হয়। তখন তাকে শ্রমিক নির্যাতনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি সিবিএ নেতৃবৃন্দের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেন এবং অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আমার ডিপার্টমেন্ট নিজের মতো করে চালাব, কারো কাছে জবাবদিহি করব না। কারো বাবার সাধ্য নেই আমাকে প্রশ্ন করার।’
এ সময় তিনি উচ্চস্বরে বলেন, ‘আমি ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলাম, সিবিএ গোনার টাইম আমার নেই। সব শালাকে দেখে নেব।’
এ ঘটনার সময় উপ-মহাব্যবস্থাপক (কম্প্রেসর অপারেশন), তিতাস অফিসের একজন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হস্তক্ষেপ করতে চাইলে মনজিল হাসান তাকে রুম থেকে বের করে দিয়ে বলেন, ‘এখানে কিছু হয়নি, আপনি চলে যান। আমি বিষয়টি সামাল দেব।’
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি আল নাহিয়ান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের স্বাক্ষরিত এক পত্রে মনজিল হাসানকে চুয়েট শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী ব্যবস্থাপক মো. মনজিল হাসান জানান, তিনি ছাত্রলীগের কমিটি থেকে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন। তবে পদত্যাগপত্রটি বর্তমানে আছে কি না, তা খুঁজে দেখবেন বলে জানান। তিনি অভিযোগগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।

 
                             
                                    


 সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন 
                                     
                                     
                                    -20251031233315.webp) 
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                    -20251031164732.webp) 
                                                                                     
                                                                                     
                             
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
       
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন