প্রতিবছর মে মাস ঘনিয়ে এলেই উপকূলের মানুষের মধ্যে বাড়তে থাকে উৎকণ্ঠা ও আতঙ্ক। ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের ভয়াবহ স্মৃতি আজও দগদগে হয়ে আছে খুলনার কয়রার প্রতিটি নদীপারের মানুষের মনে।
হরিণখোলা গ্রামের বাসিন্দা শাহাদাত শেখ বলেন, আমরা প্রতি বছর মে মাস আসলে আতঙ্কে থাকি। কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধ ভেঙে একাধিকবার আমাদের গ্রামে পানি ঢুকেছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ১৪ বিঘা জমি এই কপোতাক্ষ নদের ভাঙ্গনে চলে গেছে। এতে ঘরবাড়ি, ফসল, জমিজমা সবকিছু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নদীতে জোয়ার উঠলেই আমি বেড়িবাঁধে গিয়ে দেখি বাঁধ ভেঙেছে কিনা।
একই গ্রামের বাসিন্দা প্রতিবন্ধী মো. ওলিউল্লাহ বলেন, আমাদের জায়গা-জমি যা ছিল সব এই কপোতাক্ষ নদীর ভাঙনে চলে গেছে। আমরা বর্তমানে অসহায় হয়ে বস্তিতে বসবাস করছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নিজস্ব কোনো জায়গা-জমি নেই। ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করছি। প্রতিবছর মে মাস আসলে আমাদের খুবই ভয় হয়, আবার কোন দুর্যোগ এসে আমাদের বসতবাড়ি কেড়ে নেয়।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড খুলনা-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম বলেন, পুরো থানার ১.৫ কিলোমিটারের মতো কাজ অলরেডি আমরা টেন্ডার করেছি। এ মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে আমরা রিসিভ করব। ঠিকাদার এ মাসেই মাঠে নেমে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, এর মধ্যে যদি সমস্যা মনে হয়, তাহলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যাবস্থা নেব। আমাদের কাছে যে বাঁধগুলো ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয়েছে, সেগুলো আমরা টেন্ডার করে ওয়ার্কশিট দিয়েছি ৷ এ সপ্তাহের মধ্যে ঠিকাদার মাঠে চলে যাবে।
তিনি বলেন, এর বাইরে যে জায়গাগুলো নিচু আছে, সেগুলোতে আমাদের মনিটরিং চলছে।