শনিবার, ১০ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মে ১০, ২০২৫, ০৫:১১ পিএম

তাপপ্রবাহে পুড়ছে ফুলবাড়ী, রাস্তা-ঘাট ফাঁকা

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মে ১০, ২০২৫, ০৫:১১ পিএম

তাপপ্রবাহে পুড়ছে ফুলবাড়ী, রাস্তা-ঘাট ফাঁকা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ির ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আকাশে মেঘের ছিটেফোঁটা নেই। তপ্ত রোদের কারণে রাস্তা-প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। ফাঁকা থাকছে সড়কগুলো। তীব্র তাপপ্রবাহ হাঁসফাঁস করছে মানুষ।

দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (৮ মে) থেকে প্রকৃতি আবারও তপ্তহয়ে উঠেছে।

শুক্রবার (৯ মে) বিকেল ৩টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা মৃদ্যু তাপপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। এ সময় বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ছিল ৫৬ শতাংশ।

একইভাবে শনিবার (১০ মে) দুপুর ১২ টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা মৃদ্যু তাপপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। এ সময় বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ছিল ৪৬ শতাংশ। একই দিন বিকেল ৩টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা মাঝারি তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচ্য হচ্ছে।

সরেজমিনে শনিবার (১০ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফুলবাড়ী পৌরশহরের বিভিন্ন ব্যস্ততম এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পথিকের জন্য সড়কগুলো খাঁ-খাঁ করছে। লোকজন নেই বললেই চলে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছেন না। যারা বাইরে বের হচ্ছে তাদের মধ্যে অনেকেই ছাতা হাতেই বের হচ্ছে। তাপপ্রবাহের জন্য সড়কের পিচ গলে পড়ছে। অস্বাভাবিক আবহাওয়ার কারণে মানুষজনের মধ্যে জ্বর, সর্দিসহ নানা রোগবালাই দেখা দিয়েছে।

অটোরিকশা চালক মোতালেব হোসেন বলেন, ‘তীব্র রোদ আর গরমের জন্য যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। স্বাভাবিক সময়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা আয় হলেও শুক্রবার (৯ মে) তাপপ্রবাহের জন্য ৩৫০ টাকা আয় হয়েছে। আর আজ শনিবার (১০ মে) দুপুর সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত আয় হয়েছে মাত্র ১৩৫ টাকা।’

উপজেলার আলাদিপুর ইউনিয়নের বাসুদেবপুর সূর্য্যপাড়া গ্রামের নারী কৃষিশ্রমিক ফুলমনি হাঁসদা ও লাবনী টুডু বলেন, তীব্র রোদের জন্য ক্ষেতের বোরো ধান কাটা যাচ্ছে না। একটু কাজ করলেই হাঁস-ফাঁস উঠছে শরীরে এজন্য একটু কাজ করেই আশপাশের গিয়ে দম নিতে হচ্ছে।

দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবহাওয়াবিদ মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘বৃষ্টিপাতের আভাস রয়েছে। বৃষ্টিপাত হলেই তামপাত্রা কিচুটা কমবে।’

Link copied!