লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ঘরে ডুকে তাজিয়া বেগম (৬৫) নামে এক নারীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তার গলায় ও নাকে থাকা স্বর্ণ লুটে নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১৩ মে) রাত ১১টার দিকে উপজেলার চন্ডীপুর ইউনিয়নের কালুপুর গ্রামের ক্বারী সাহেবের বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে কারা, কী কারণে ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা কেউ নিশ্চিতভাবে বলতে পারেননি।
তাজিয়া ক্বারী সাহেবের বাড়ির আব্দুল মান্নানের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মান্নান এশার আজান দিলে মসজিদে নামাজ পড়তে যান। ওই সময় বাসায় তার স্ত্রী তাজিয়া একা ছিলেন। সেই সুযোগে কে বা কারা বাসায় ঢুকে তাকে গলা কেটে হত্যা করে। নামাজ শেষে মসজিদ থেকে মান্নান বাসায় এসে দেখেন রান্নাঘরে স্ত্রীর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
তাজিয়া বেগমের ভাতিজা এনামুল চৌধুরী পাবেল কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, কে বা কারা আমার ফুফুকে জবাই করে হত্যা করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কী কারণে এমনটি হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি। তবে তার গলায় ও নাকে থাকা স্বর্ণ লুটে নিয়ে গেছে।
রামগঞ্জ থানার ওসি আবুল বাশার বলেন, ঘটনার সময় ওই নারী ঘরে রান্না করছিলেন। এ সময় ধারালো বঁটি দিয়ে তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। কে বা কারা, কী কারণে ঘটনা ঘটিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।