ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় গরু চুরির হিড়িক পড়েছে। কখন গোয়াল থেকে গরু চুরি হয় এই আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন এলাকার কৃষক ও খামারিরা। প্রতি রাতেই কোনো না কোনো এলাকায় হানা দিচ্ছে সংঘবদ্ধ চোরের দল।
মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের কুল্লাপাড়া গ্রামে এক রাতে তিন কৃষকের ৮টি গরু চুরি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকার কৃষক আবু সাঈদ ভূঁইয়া আব্দুল ও তার দুই ভাই প্রতিদিনের মতো গরুগুলো গোয়ালঘরে রেখে ঘুমিয়ে পড়েন। চুরি হওয়া গরুগুলোর মধ্যে বড় ষাড় রয়েছে ২ টি, গাভী ৪টি ও বাছুর ২টি।
ভুক্তভোগীরা জানান, গরুগুলোর বাজার মূল্য আনুমানিক ৭ লক্ষাধিক টাকা।
গত ২৯ জানুয়ারিতে ভোর ৪টায় উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নে পাড়া পাচাশি গ্রামের আব্দুল মতিনের গোয়ালঘর থেকে দেশি জাতের ৩টি গরু চুরি করে ট্রাকে তুলে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। যার আনুমানিক মূল্য ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, গভীর রাতে পিকআপ ভ্যান নিয়ে বিভিন্ন রাস্তার পাশের খামার থেকে গরু চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। ময়মনসিংহ- কিশোরগঞ্জ হাইওয়ে দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় চোরাই গরুবাহী পিকআপ। রাত জেগে পাহারা দিয়েও নিস্তার মিলছে না। পুলিশে অভিযোগ করেও পাচ্ছেন না সহযোগিতা। এমন পরিস্থিতিতে চুরি আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের।
সংঘবদ্ধ চোরের দল নানা কৌশলে একের পর এক কৃষকের গোয়ালঘর থেকে গরু চুরি করে যাচ্ছে। পুলিশের নজরদারির অভাব ও রাত্রিকালীন টহল না থাকার কারণে চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না বলে অনেকের অভিযোগ।
পুলিশের দায়িত্বহীনতা নিয়েও ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ। চুরির ভয়ে কৃষক ও খামারিরা গরু পালনে আগ্রহ হারাচ্ছেন।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি ওবায়দুর রহমান বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শ দিয়েছি। চুরি হওয়া গরুগুলো উদ্ধার করতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে।