শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ১৯, ২০২৫, ০৪:১০ পিএম

 ‘চোর’ বলে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া ব্যক্তির পরিবার বলছে ভিন্ন কথা

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ১৯, ২০২৫, ০৪:১০ পিএম

মোবাইল চোর আখ্যা দিয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে মতিউর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে ফেলে দেওয়া হয়। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

মোবাইল চোর আখ্যা দিয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে মতিউর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে ফেলে দেওয়া হয়। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

‘মোবাইল চোর’ আখ্যা দিয়ে এক ব্যক্তিকে চলন্ত ট্রেনের জানালা দিয়ে টেনেহিঁচড়ে ‌নেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওর ব্যক্তিতে অনেকেই চোর ও ছিনতাইকারী বলে দাবি করছিলেন। এতে অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন জাগছে- তিনি কি আদৌ চোর বা ছিনতাইকারী ছিলেন? 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ট্রেন থেকে পড়ে যাওয়া ওই ব্যক্তির নাম মতিউর রহমান (৪০)। তার বাড়ি নওগাঁর রানীনগর উপজেলার পারইল গ্রামে। তিনি পেশায় অটোরিকশাচালক।

তবে গত দেড় বছর ধরে মতিউর সৌদি আরবের অ্যাম্বাসির মাধ্যমে লোক পাঠানোর কাজ করছেন। মতিউরকে চোর ও ছিনতাইকারী বলে দাবির বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মতিউরের পরিবারের সদস্যরা।

মতিউরের ছেলে আহসান হাবিব বলেন, ‘গত ১৫ দিন আগে আমার বাবা বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলার তালশন গ্রামের মোহাম্মদ হেলালের ছেলে সজিব হোসেনকে সৌদি আরবে পাঠিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘সৌদি আরবে পাঠানো বাবদ তার কাছ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে বৈধ কাগজপত্র পেতে দেরি হওয়ায় সজিব তার বাবাকে আমাদের বাড়িতে পাঠিয়ে গত ৭-৮ দিন আগে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে যায়।’

‘এরই জের ধরে বগুড়া থেকে ট্রেনে বাড়িতে ফেরার পথে সজিবের ছোট ভাই রাকিব ও সজীবের শ্যালকরা আমার বাবাকে মোবাইল চোর বলে ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বাবা খুব কষ্ট করে প্রায় ৪-৫ মিনিট ট্রেনের সঙ্গে ঝুলে ছিল।’

হাবিব বলেন, ‘বাবার কাছে ব্যবসায়িক কাজের ৫০ হাজার টাকা ছিল, সেটিও তারা কেড়ে নেয়। একপর্যায়ে ট্রেনটি আদমদিঘী উপজেলার নশরৎপুর স্টেশনে এলে সেখানকার প্লাটফর্মের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে আমার বাবা ট্রেনের নিচে পড়ে যায়।’

‘ট্রেনের নিচে পড়লেও বাবা কোনোরকম প্রাণে বেঁচে যান। কিন্তু সেখানকার উৎসুক জনতা বাবাকে মোবাইল চোর ও ছিনতাইকারী ভেবে বেধড়ক মারধর করতে থাকেন।’ 

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এ ঘটনায় আদমদীঘি থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে তারা আমার অভিযোগ নিতে চাননি। আদমদিঘী থানার ওসি আমার সঙ্গে অনেক খারাপ ব্যবহার করেন। তারা আমাকে বলেন এটি রেলওয়ের বিষয়, এই অভিযোগ সান্তাহার রেলওয়ে থানায় গিয়ে করুন।’

মতিউরের ছেলে বলেন, ‘আদমদিঘী থানা পুলিশের কথা শুনে সান্তাহার রেলওয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে‘ গেলে তারা বলেন, আপনার বাবা জীবিত রয়েছেন। মারা গেলে মামলা নেওয়া যেত। আমরা এখন কোথায় গিয়ে অভিযোগ করব? এ ঘটনার পর থেকে মানুষের সামনে যেতে পারছি না। আমার বাবা তো ছিনতাইকারী না। তিনি বৈধ পথে ব্যবসা করে আসছিলেন। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’

মতিউর রহমানকে চেনেন মোহাম্মদ হাসান। পার্শ্ববর্তী গ্রামে তার বাড়ি। কথা হলে তিনি বলেন, ‘মতিউর রহমান একজন ভালো মানুষ।’

‘তার মাধ্যমে আমার দুই আত্মীয়কে বিদেশে পাঠিয়েছি। একজন সৌদি আরবে, আরেকজন মালয়েশিয়াতে আছে। এখন পর্যন্ত তাদের কোনো সমস্যা হয়নি। মতিউরের সঙ্গে লেনদেন নিয়ে কখনো কারো ঝামেলা হতে দেখিনি।’

মতিউরকে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার ব্যাপারে সজীবের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ হেলাল বলেন, ‘বগুড়া থেকে আসার সময় সজীবের শ্যালকরা ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে মতিউরকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে রাকিব সেখানে কিছুই করেনি। ট্রেনে কী হয়েছে, এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।’

অভিযোগের বিষয়ে বগুড়া আদমদিঘী থানার ওসি এস এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এটি রেলওয়ে পুলিশের বিষয়। তাই আমরা কোনো অভিযোগ নিইনি।’

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!