ভারতের মেঘালয় ও আসামে টানা ভারী বর্ষণের প্রভাবে শেরপুর জেলার পাহাড়ি নদ-নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে গত তিন দিন ধরে থেমে থেমে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার কিছু নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছেছে। এতে আকস্মিক বন্যার শঙ্কায় রয়েছেন নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ।
জানা গেছে, সোমেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নির্মাণাধীন চাপাতলী সেতুর পার্শ্ববর্তী নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ করেছে। ফলে আশপাশের কয়েকটি দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে-মঙ্গলবার (২০ মে) পর্যন্ত জেলার নিম্নাঞ্চলগুলো সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে, যা জনজীবন ও কৃষি খাতে বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, যেসব এলাকায় ধান ৮০ শতাংশের বেশি পেকে গেছে, সেসব জমির ধান দ্রুত কেটে উঁচু জায়গায় সরিয়ে নিতে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল ১০টায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সর্বশেষ তথ্য থেকে জানা যয়, চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১০৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত রাত ১০টায় পানির উচ্চতা ছিল ৩৯ সেন্টিমিটার ওপর, যা রাতেই কিছুটা কমে। তবে ভোর থেকে মুষলধারে বৃষ্টি এবং উজানে অতিরিক্ত বর্ষণের কারণে আবারও পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
সোমেশ্বরী নদীর পানি বেড়ে গিয়ে নির্মাণাধীন চাপাতলী সেতুর পাশের নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ করায় আশপাশের কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের মঙ্গলবার সকাল ৯টার তথ্য অনুযায়ী, ভোগাই নদীর পানি (নকুগাঁও পয়েন্ট) বিপৎসীমার ৩৭৯ সেন্টিমিটার নিচে, নালিতাবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৫৭ সেন্টিমিটার নিচে ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৮৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম রাসেল গণমাধ্যমকে বলেন, বৃষ্টি ও উজানের কারণে পানি বেড়েছে। তবে এখনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং প্রশাসনের সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :