চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুর ওপরে পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও কয়েকটি মোটরসাইকেল ধাক্কা লেগে ৩ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
আহতদের কয়েক জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পার্কভিউ হসপিটাল ও বোয়ালখালি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে। এরমধ্যে একজন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে এবং চার রেলকর্মী সাময়িক বরখাস্ত।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সেতুর বোয়ালখালী অংশে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, সিএনজি চালক তৌহিদুল ইসলাম তুষার(২৯), ৩ বছরের শিশু মেহেরিমা নূর আয়েশা এবং অজ্ঞাতনামা একজন।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনটি গত ৫ জুন রাত দশটায় চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতু পার হওয়ার সময় সিগনাল না মেনে কতিপয় যানবাহন ব্রিজে উঠে গেলে দুর্ঘটনা ঘটে।
তবে স্থানীয়রা জানায়, সেতু পারাপারের সময় ট্রেনের সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তখনও সেতুর ওপর যানবাহন ছিল। রাত ১০টা ১০ মিনিটের দিকে ট্রেনটি কিছু বুঝে উঠার আগেই দ্রুতগতিতে এসে অটোরিকশা-মোটরসাইকেলসহ বেশ কয়েকটি যানবাহনকে ধাক্কা দেয়। ট্রেনের ধাক্কায় এসব যানবাহন দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
জানালিহাট স্টেশনের দায়িত্বরত স্টেশন মাস্টার মো. নেজাম উদ্দিন জানান, সেতুর ওপর একটি গাড়ি নষ্ট হওয়ার কারণে সব গাড়ি সেতু থেকে নামতে পারেনি। কিন্তু ট্রেনটি দ্রুতগতিতে সেতুর ওপর উঠে গিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, সেতুতে যানজটের কারণে আমরা লাল সিগন্যাল দিই, গার্ডও হাতে লাল পতাকা নিয়ে সংকেত দেন। কিন্তু ট্রেনচালক তা মানেননি। নিয়ম হলো ট্রেন পূর্ব প্রান্তে এসে দাঁড়ানোর পর লাইনম্যানের সংকেত পেলে সেতুতে উঠবে। কিন্তু ট্রেনচালক এ নিয়ম না মেনে দ্রুতগতিতে সেতুতে উঠে যান।
বরখাস্তকৃতরা হলেন- পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের দায়িত্ব পালনকারী গার্ড সোহেল রানা (হেড কোয়ার্টার, চট্টগ্রাম), লোকো মাস্টার গোলাম রসুল, সহকারী লোকো মাস্টার আমিন উল্লাহ এবং অস্থায়ী গেট কিপার (টিএলআর) মাহবুব।
দুর্ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রদান করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা চট্টগ্রাম এর নেতৃত্বে গঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, ডিএমই ( লোকো), চট্টগ্রাম, ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার -১ এবং বিভাগীয় চিকিৎসক, পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম।
আপনার মতামত লিখুন :