বৃহস্পতিবার, ১২ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ১১, ২০২৫, ০৫:১৫ এএম

শাশুড়ি ও দুই শ্যালককে হত্যার পর জানাজায় যুবক

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ১১, ২০২৫, ০৫:১৫ এএম

ঘাতক যুবক রবিন।         ছবি- সংগৃহীত

ঘাতক যুবক রবিন। ছবি- সংগৃহীত

ঢাকার ধামরাইয়ে মা ও দুই ছেলে হত্যারহস্য উদ্ঘাটন করেছে পিবিআই। শাশুড়ি ও দুই শ্যালককে একাই হত্যা করে তাদের জানাজায়ও অংশ নেয় যুবক।

গত ২ জুন তিনজনের লাশ উদ্ধারের পর ৪ জুন রাতে রবিন হোসেন (২২) নামে যুবককে সন্দেহভাজন হিসেবে উপজেলার সানোড়া ইউনিয়নের মধুডাঙ্গা এলাকা থেকে আটক করা হয়।

এর পর জিজ্ঞাসাবাদে রবিন তার শাশুড়ি নারগিস বেগম (৪০), দুই শ্যালক শামীম হোসেন (১৭) ও সোলায়মানকে (৬) একাই বালিশচাপা দিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের ঢাকা জেলার সুপার কুদরত-ই-খুদা।

গ্রেপ্তার রবিন উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। তাকে গত ৫ জুন আদালতে পাঠানো হলে শাশুড়ি ও দুই শ্যালককে হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। এর পর আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

নিহত নারগিস, শামীম ও সোলায়মান উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের রক্ষিত গ্রামের মৃত রাজা মিয়ার স্ত্রী ও দুই ছেলে।

জানা যায়, রাজা মিয়া ডেকোরেটরের ব্যবসা করতেন। বছরখানেক আগে তিনি মারা যান। আড়াই বছর আগে তার মেয়ে নাসরিন আক্তারের সঙ্গে রবিনের বিয়ে হয়। রাজা মিয়া মারা যাওয়ার পর তাঁর ডেকোরেটরের ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন রবিন ও তাঁর শাশুড়ি নারগিস। মাদকাসক্ত রবিন ব্যবসার অধিকাংশ টাকা ব্যয় করে ফেলে। এ কারণে আড়াই মাস আগে ডেকোরেটরের ব্যবসা ১ লাখ ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন নারগিস। এ নিয়ে পারিবারিক কলহের শুরু।

পিবিআই ঢাকা জেলার সুপার কুদরত-ই-খুদা জানান, এই কলহের জেরে রবিন গত ১ জুন রাতে নাসরিনকে নিজ বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় রেখে ৬ কিলোমিটার দূরে শ্বশুরবাড়ি যায়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে রবিন প্রথমে টিনের বেড়া খুলে শামীমের ঘরে ঢুকে তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করে।

পরে পাশের কক্ষে নারগিস ও সোলায়মানকেও বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করে। এর পর কৌশলে দরজা লাগিয়ে রাতেই নিজ বাড়িতে চলে যায় রবিন। পরদিন ২ জুন পুলিশ লাশ তিনটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ৩ জুন সন্ধ্যায় তিনজনের জানাজায় অংশ নেয় রবিন। 

পিবিআই জানায়, হত্যাকাণ্ডের পর নাসরিন, রবিনসহ কয়েকজনকে নজরদারিতে রাখা হয়। ৪ জুন রবিনকে আটক করলে সে তিনজনকে হত্যার কথা স্বীকার করে।

ধামরাই থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে এ তিন খুনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত 
নারগিসের ভাই আব্দুর রশিদ অপমৃত্যু মামলা করেন। পরে রবিন হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করলে থানায় হত্যা মামলা করা হয়। রবিন এখন জেল হাজতে রয়েছেন।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!