বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


শেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২৫, ০৬:৫৫ পিএম

ডিবি হেফাজতে বিএনপি নেতার মৃত্যু, ডিআইজি আনিসসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

শেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২৫, ০৬:৫৫ পিএম

আবু বক্কর সিদ্দিকী বাচ্চু। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

আবু বক্কর সিদ্দিকী বাচ্চু। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

২০১২ সালে শেরপুরে ডিবি হেফাজতে জেলা কৃষক দলের সহ-সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিকী বাচ্চু (মেকার) মৃত্যুর ঘটনায় সাবেক পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ সুপার, ডিবি ওসি-সহ মোট ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নিহতের ছেলে মোকারুল ইসলাম মোহন এ মামলা দায়ের করেছেন শেরপুর সদর আমলী আদালতে।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুরে শুনানি শেষে শেরপুর সদর আমলী আদালতের বিচারক সুলতান মাহমুদ মিলন মামলাটি তদন্তের জন্য জামালপুর পিবিআই পুলিশ সুপারকে আদেশ দিয়েছেন।

মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, সাবেক পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহিবুল ইসলাম খান, সাবেক ডিবি ওসি মো. নজরুল ইসলাম, সাবেক ডিবি সেকেন্ড অফিসার মো. জহুরুল ইসলাম, সাবেক পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. নজরুল ইসলাম, সাবেক ডিবি এসআই মো. রিয়াদ হোসেন, সাবেক এমপি ও হুইপ শেরপুর-১ আসনের আতিউর রহমান আতিক, সাবেক এমপি ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফাতেমাতুজ জোহরা শ্যামলী, মো. আরিফ রেজা, মো. শুভ রেজা, মো. আনোয়ারুল হাসান উৎপল, শ্রী চন্দ্রন সাহা, যুবলীগ নেতা তরিকুল ইসলাম রাজু, আমিরুল ইসলাম, শরিফুল রহমান শরিফ, মোহাম্মদ আলী, মো. শহিদুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, মো. আ. আলিম, মো. জাহাঙ্গীর আলম (২), আষীষ কুমার সুর, মাসুদ রানা, বেলাল হোসেন, মো. সাইদুল ইসলাম (সাইদ), মাহবুবা রহমান (শিমু), মনিরুজ্জামান মিলন তালুকদার, মো. আব্দুল হামিদ, শামীম আরা বেগম, হাজী মোশারফ, চানু মিয়া এবং সেতু দও।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ৩ ডিসেম্বর (সোমবার) রাত সাড়ে ১১টায় শেরপুর শহরের সজবরখিলা মহল্লার নিজ বাসা থেকে আবু বক্কর সিদ্দিকী বাচ্চুকে ডিবি পুলিশের একটি দল তুলে নিয়ে যায়। পরদিন ৪ ডিসেম্বর রাত আড়াইটার দিকে তার নিথর দেহ বাড়িতে রেখে যায় পুলিশ সদস্যরা।

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, আবু বক্কর সিদ্দিকী বাচ্চু ডিস ক্যাবল ব্যবসার পাশাপাশি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার নামে পূর্বে কোনো মামলা ছিল না। আওয়ামী লীগ ও পুলিশের একাংশের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে তাকে পরিকল্পিতভাবে আটক করে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

নিহতের ছেলে মোকারুল ইসলাম মোহন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার বাবাকে হত্যার পর পুলিশ পাহারায় জানাজা ও দাফন করানো হয়। আমাদের মামলা করতে দেওয়া হয়নি। পুলিশ সবসময় ভয়ভীতি দেখাত এবং আমার দুই ভাইসহ আমাদের হয়রানি করেছে। আমি আমার বাবার হত্যার বিচার চাই।’

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ সজীব রানা বলেন, ‘নিহতের ছেলে মোহন বাদী হয়ে সাবেক পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ সুপার, ডিবি ওসি ও কয়েকজন কনস্টেবলসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পিবিআই জামালপুর পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।’
 

Link copied!