কুমিল্লার মুরাদনগরে ধর্ষণ ও নিপীড়নের শিকার সেই নারী ঘটনাস্থল বাবার বাড়ি থেকে অন্যত্র চলে গেছেন।
মঙ্গলবার (১ জুন) সকাল থেকে ওই নারীসহ তার পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে দেখা যায়নি।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাতে বাড়িতে গিয়ে পাননি মুরাদনগরের সাবেক এমপি শাহ মোফাজ্জল হোসেইন কায়কোবাদ।
তিনি বলেন, পুলিশ তাকে বাড়ি থেকে সরিয়ে দিয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, ঘটনার পর প্রতিদিনই তাদের বাড়িতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন ভিড় করছেন। এ ছাড়া গণমাধ্যমকর্মী ও ইউটিউবারদের কাছে সাক্ষাৎকার দিতে দিতে তার জীবন ‘দুর্বিষহ’ হয়ে উঠেছে। এমন পরিস্থিতি এড়াতে তিনি বাড়ি ছেড়ে গেছেন।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে কায়কোবাদ বলেন, আমি এখানে এসেছিলাম সবার সঙ্গে দেখা করতে, কথা বলতে। ভুক্তভোগী ওই নারী ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানাতে। কিন্তু এসে তাদের পেলাম না। পুলিশ ও আমাদের উপদেষ্টা ষড়যন্ত্র করে তাদের এখান থেকে দূরে নিয়ে গেছে। আমি জানতে চাই, তাদের উদ্দেশ্য কি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকেই ওই নারী ও তার পরিবারের সদস্যদের আর বাড়িতে দেখা যায়নি। সোমবার বিকেলে তার স্বামীর বাড়ি যাবেন বলে বাবার বাড়ি থেকে বের হন। এরপর তার মা-বাবাসহ পরিবারের লোকজনও অন্যত্র চলে যান।
মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান বলেন, ওই নারী তার শ্বশুর বাড়িতে গেছেন। তিনি যেতেই পারেন, এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। প্রতিদিন কত মানুষ তার বাড়িতে আসে, নানা কথা জানতে চায়। তিনি যদি নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেন অবশ্যই তাকে নিরাপত্তা দেওয়া হবে।
কায়কোবাদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ সত্য নয়, রাজনীতিবিদরা কত কথাই বলেন। এটা তার ব্যক্তিগত মতামত। একজন নারী ধর্ষিত হয়েছেন, আমরা তার আইনগত দিকগুলো দেখছি। এতে আমাদের কোনো ঘাটতি আছে কি না সেটা বলেন। এর বাইরে কে কি বলল তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না।
আপনার মতামত লিখুন :