বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২৫, ০৭:৫০ পিএম

সবাইকে ব্যবসার সুযোগ দিয়ে এনইআইআর চালু হোক: পিয়াস

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২৫, ০৭:৫০ পিএম

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

সবাইকে ব্যবসার সমান সুযোগ দিয়ে ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) ব্যবস্থা চালুর দাবি করেছেন মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ পিয়াস। কোনো একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর বদলে সকলেই সরকারকে কর দিয়ে মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানি করতে পারবেন, এমন ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ দেশের সাধারণ জনগণকে উপকৃত করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। 

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) হেফাজত থেকে মুক্তির পর নিজ প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন পিয়াস। বৃহস্পতিবার  (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর পান্থপথে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে পিয়াস বলেন, ‘ডিবির একটি প্রতিনিধিদল আমাকে কোনো প্রকার অভিযোগ পত্র ছাড়াই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়। প্রতিনিধিদল আমাকে জানায়, ডিবি প্রধান আমার সাথে কথা বলবেন এবং কথা শেষে আবার বাসায় নামিয়ে দেবেন। এত রাতে কীসের কথা এর কোনো ধারণা না পেলেও আইনকে সম্মান করে তাদের সাথে কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হই। এরপর টানা ১৫ ঘণ্টা আমি ডিবির হেফাজতে ছিলাম।’

তিনি বলেন, ‘কার্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার পর দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন অফিসারকে কারণ জানতে চাইলে তারা জানান এর কিছুই তারা জানেন না, ‘ওপরের নির্দেশে’ আমাকে নিয়ে আসা হয়েছে।’

পিয়াস বলেন, ‘মূল বিষয় হলো, দেশের মোবাইল বাজার নিয়ে গত কিছু দিনের চলমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে বুধবার একটি সংবাদ সম্মেলনে নির্ধারিত ছিল। কিন্তু কথিত সেই ‘ওপর মহল’ আমাদের এই প্রেস কনফারেন্স বানচাল করার উদ্দেশ্যে সাংবাদিক মিজানুর রহমান সোহেলসহ আমাকে রাতের অন্ধকারে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তুলে নেওয়া হয়।

এনইআইআর ব্যবস্থা সম্পর্কে পিয়াস বলেন, ‘এনইআইআর সিস্টেম চালু হবে, তবে সবার জন্য বাণিজ্য উন্মুক্ত করে, অযৌক্তিক ৫৯ কর কাঠামো পুনর্বিবেচনা করে। একই সাথে, যে-কেউ সঠিক কর দিয়ে তার সক্ষমতা অনুযায়ী যত খুশি ডিভাইস এলসি করে আনতে পারবে, সেই সুযোগ রাখতে হবে। এভাবে এনইআইআর ব্যবস্থা চালু হলে সবার ব্যবসা টিকে থাকবে, সরকার রাজস্ব পাবে এবং দেশের সকল শ্রেণির সাধারণ মানুষ নিরবিচ্ছিন্ন সেবা পাবে।’

তিনি বলেন, ‘বিটিআরসির একটি বিশেষ নীতির কারণে পুরো এনইআইআর সিস্টেম প্রশ্নবিদ্ধ। এটি প্রতিযোগিতা কমিশনের আইন এবং মুক্ত বাণিজ্যের এর সাথে সাংঘর্ষিক। বিটিআরসির এই শর্ত অনুযায়ী মোবাইলের ডিউটি ৫৭ শতাংশ বা শুন্য যা-ই হোক, আপনি সঠিক শুল্ক পরিশোধ করেও সেই ডিভাইস আমদানি করতে পারবেন না। যেহেতু পারবেন না, তাই সিন্ডিকেটের হাতেই ক্ষমতা চলে যাচ্ছে। ব্যাপারটি এমন যে বড়দের আরও বড় হতে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, আর ছোটদের গলা চেপে ধ্বংস করা হচ্ছে।’

পিয়াস আরও বলেন, ‘আমরা শুধু এই বিষয়গুলো জনগণ ও সরকারের সামনে উপস্থাপন করার জন্যই আমাদের প্রেস কনফারেন্স ছিল।’

সংবাদ সম্মেলনে ডিবির হাতে আটক সাংবাদিক মিজানুর রহমান সোহেল, মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের সিনিয়র সহসভাপতি শামীম মোল্লাহসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দিবাগর রাত সাড়ে ১২টায় রাজধানীর বাড্ডা নতুন বাজার এলাকা থেকে প্রথমে সাংবাদিক মিজানুর রহমান সোহেল এবং রাত ৩টায় মিরপুর-১-এর বাসা থেকে ডিবির হাতে আটক হন আবু সাঈদ পিয়াস। পরবর্তীতে বুধবার সকাল ১০টায় প্রথমে সাংবাদিক সোহেল এবং সন্ধ্যা ৬টায় পিয়াসকে মুক্তি দেয় ডিবি।

Link copied!