শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২৫, ০২:৪৫ পিএম

এখনো বিক্রি হয়নি কোরবানির চামড়া

কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২৫, ০২:৪৫ পিএম

কলমাকান্দা উপজেলার জামিয়া দীনিয়া মারকাজ মাদ্রাসার চামড়াগুলো লবণ দিয়ে অস্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে।     ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

কলমাকান্দা উপজেলার জামিয়া দীনিয়া মারকাজ মাদ্রাসার চামড়াগুলো লবণ দিয়ে অস্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ঢাকার ট্যানারি কারখানাগুলোর আগ্রহের অভাবে কোরবানির চামড়া বিপণনে মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছে। নেত্রকোনার কলমাকান্দাসহ দেশের বিভিন্ন উপজেলায় মাদ্রাসা ও এতিমখানাগুলোতে শত শত পশুর চামড়া অবিক্রীত পড়ে রয়েছে।

কলমাকান্দা উপজেলার জামিয়া দীনিয়া মারকাজ মাদ্রাসা এবারে কোরবানির ৬০০ চামড়া সংগ্রহ করেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ঢাকার কোনো ট্যানারি কিনতে আগ্রহ দেখায়নি। চামড়াগুলো লবণ দিয়ে অস্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে।

মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতি বছর এই চামড়ার বিক্রয়লব্ধ অর্থে শিক্ষার্থীদের খরচ, হোস্টেল মেরামতসহ নানাবিধ ব্যয় মেটানো হয়। এবার তা অনিশ্চয়তায় পড়েছে।

মাদ্রাসার মোহতামিম মুফতি শফিকুর রহমান বলেন, আমরা চামড়াগুলো বিক্রি করে মাদ্রাসার খরচ চালিয়ে থাকি। কিন্তু এবার বিক্রি করতে না পারায় চরম দুশ্চিন্তায় আছি। বেশি দিন সংরক্ষণ করাও সম্ভব নয়।

স্থানীয়রা বলছেন, চামড়ার বাজারে সিন্ডিকেটের প্রভাব এবং ঢাকার ট্যানারিগুলোর ন্যায্য মূল্য না দেওয়ার প্রবণতার কারণেই এই সংকট তৈরি হয়েছে।

জানা গেছে, চামড়া না কেনার কারণ হিসেবে ট্যানারিগুলোর-কাঁচা চামড়া সংরক্ষণের সীমাবদ্ধতা, রপ্তানির জটিলতা, মূল্য নির্ধারণে অস্বচ্ছতা ও কেন্দ্রীয় সিন্ডিকেটের চাপ। সাভারের অধিকাংশ ট্যানারিতে এখনো আধুনিক প্রক্রিয়াকরণ ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু হয়নি। এতে অতিরিক্ত চামড়া নেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।

চামড়ার বাজার নিয়ন্ত্রণে একটি অসাধু চক্র কাজ করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। ফলে প্রতি বছর কোরবানির মৌসুমে বিপুল পরিমাণ চামড়া মাঠেই পচে যায়- জাতীয় অর্থনীতিও বঞ্চিত হয় সম্ভাব্য আয় থেকে।

সচেতন মহল বলছে, সরকারি নির্ধারিত দাম থাকলেও বাস্তবে তা কার্যকর হয় না। দ্রুত সময়ের মধ্যে স্থানীয় পর্যায়ে সংগ্রহ কেন্দ্র চালু ও ট্যানারিদের বাধ্যতামূলক চাহিদা তালিকা তৈরির দাবি উঠেছে।

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!