পাবনার বেড়া উপজেলায় মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হাদিস প্রামাণিক (৫০) নামে এক ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার (২৬ জুলাই) বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
নিহত হাদিস সাঁথিয়া উপজেলার তলট গ্রামের বাসিন্দা হলেও বেড়ার চাকলা ইউনিয়নের তারাপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করতেন। তিনি নতুন মসজিদ নির্মাণের পক্ষের সক্রিয় সমর্থক ছিলেন।
হাদিসের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শনিবার দুপুরের দিকে তারাপুর গ্রামে ফের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের (পুরোনো মসজিদের সমর্থক) অন্তত ৪-৫টি বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ চালানো হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বেড়া মডেল থানার ওসি ওলিউর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবারের ঘটনায় আহত একজনের মৃত্যু হওয়ার পর গ্রামে নতুন করে সহিংসতা শুরু হয়। অন্তত তিনটি বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছি, পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক বছর আগে ওই গ্রামে একটি মিলাদ মাহফিলে কিয়াম পড়া নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়। সেই থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে বিভক্তি তৈরি হয়। তৎকালীন ক্যাশিয়ার মতিনের নেতৃত্বে একটি পক্ষ নতুন একটি মসজিদ নির্মাণ করে। সাম্প্রতিক সময়ে ওই নতুন মসজিদের বারান্দা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হলে, পুরোনো মসজিদের সমর্থকেরা তাতে আপত্তি জানায়।
এ নিয়ে গত ২৫ জুলাই (শুক্রবার) সকালে বারান্দা নির্মাণকালে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধে। উভয় পক্ষের লোকজন হাঁসুয়া, ট্যাটা ও লাঠি নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হন। এদের মধ্যেই ছিলেন হাদিস প্রামাণিক, যিনি একদিন পর মারা যান।
এ ঘটনায় এখনো কোনো পক্ষ মামলা করেছে কি না, তা নিশ্চিত করেনি পুলিশ। তবে গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং সহিংসতার পেছনে জড়িতদের শনাক্তে কাজ চলছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
আপনার মতামত লিখুন :