শুক্রবার, ০১ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২৫, ০৯:১৬ এএম

তথ্য চাওয়ায় সাংবাদিকদের গালাগাল, আটকের নির্দেশ ওসির

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২৫, ০৯:১৬ এএম

ওসি আশরাফুল ইসলাম। ছবি- সংগৃহীত

ওসি আশরাফুল ইসলাম। ছবি- সংগৃহীত

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় হিন্দুপল্লিতে হামলার ঘটনা জানতে গিয়ে দুই সাংবাদিক পুলিশের গালাগাল ও হুমকির শিকার হয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, কিশোরগঞ্জ থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম শুধু গালাগালই নয়, উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের সাংবাদিকদের গ্রেপ্তারের নির্দেশও দেন।

ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ থানার সামনে ‘গোলঘর’ এলাকায়।

ভুক্তভোগী দুই সাংবাদিক হলেন, রেজওয়ান রনি, রংপুর প্রতিনিধি, দৈনিক কালবেলা, জহির রায়হান, নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রথম আলো। 

তারা রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার খিলালগঞ্জ ইউনিয়নের পাশের সিঙ্গেরগাড়ি বাজার এলাকায় হিন্দুপল্লিতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশের অবস্থান জানতে কিশোরগঞ্জ থানায় গিয়েছিলেন।

জানা গেছে, গত রোববার রাতে ওই এলাকায় মাইকিং করে হাজারো মানুষের জমায়েত করা হয় এবং পরে হিন্দুপল্লিতে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। জমায়েতের স্থান কিশোরগঞ্জ থানার আওতায় হওয়ায়, হামলার আগের পরিস্থিতি জানতে থানায় যান দুই সাংবাদিক।

তবে থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম তাদের সঙ্গে উসকানিমূলক আচরণ করেন এবং বলেন, উসকানি দিতে আসছেন আপনারা। আপনারা প্ল্যান করছেন, প্রমাণ আছে আমার কাছে। এরপর তিনি উপস্থিত এক এসআইকে নির্দেশ দেন, এই পুলিশ ডাকেন, ওদের ধরেন।

সাংবাদিক রেজওয়ান রনি অভিযোগ করেন, আমরা হামলার পরিস্থিতি জানতে চাইলে ওসি প্রথমে এড়িয়ে যান, পরে চোখ রাঙিয়ে আমাদের ওপর চিৎকার শুরু করেন।

ওসি আশরাফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, আমি আধুনিক পুলিশ। সাংবাদিকদের ভয় করে চলব না। কেউ আইন ভাঙলে, সে পুলিশ হোক বা সাংবাদিক, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সালেকুজ্জামান সালেক বলেন, এটি সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে সরাসরি বাধা। ওসিকে দ্রুত প্রত্যাহার করে বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে।

নীলফামারী সাংবাদিক ইউনিয়ন অভিযোগ করেছে, কিশোরগঞ্জ থানার ওসি দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকদের সঙ্গে অসহযোগিতামূলক আচরণ করে আসছেন। থানায় মামলা করতেও হয়রানির শিকার হতে হয়।

এ বিষয়ে নীলফামারীর পুলিশ সুপার এএফএম তারিক হাসান খানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এমনকি হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠালেও কোনো সাড়া মেলেনি।

ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, অভিযুক্ত ওসিকে প্রত্যাহার ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন সাংবাদিক নেতারা। তারা বলেছেন, এ ধরনের আচরণ সাংবাদিকতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য বড় হুমকি।

Shera Lather
Link copied!