মাদারীপুরে পৃথক দুটি স্থান থেকে এক ভ্যানচালক ও এক বাবুর্চির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকালে রাজৈর উপজেলার নয়ানগর মাছকান্দি ও সদর উপজেলার ঝিকরহাটি এলাকা থেকে এই মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- মাদারীপুরের রাজৈর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড পশ্চিম রাজৈর গ্রামের আমজেদ আকনের ছেলে আকাশ আকন (১৮)। তিনি পেশায় একজন ভ্যানচালক। অন্যজন সদর উপজেলার ঘাটমাঝি ইউনিয়নের ঝিকরহাটি গ্রামের এলাজদ্দিন বেপারীর ছেলে মো. ইমরান বেপারী (৫৮)। তিনি পেশায় একজন বাবুর্চি।
জানা যায়, অটোভ্যান ছিনতাইয়ের পর আকাশকে হত্যা করা হয়।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) জাহাঙ্গীর আলম দুপুর দেড়টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে আকাশ জীবিকার তাগিদে ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। রাতে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে রাজৈর উপজেলার বদরপাশা ইউনিয়নের নয়ানগর মাছকান্দি গ্রামে বদরপাশা-উমারখালী সড়কের পাশে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী।
পরে খবর পেয়ে রাজৈর থানার ওসি মো. মাসুদ খান, পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় কুমার ঘোষ ও এসআই কামরুজ্জামানসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আকাশ আকনের গলায় চিকন রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে এবং তার অটোভ্যানটি ছিনতাই করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হবে।’
অন্যদিকে, গত বুধবার রাত ১০টার দিকে খাবার খেয়ে বাড়ি থেকে বের হন বাবুর্চি মো. ইমরান বেপারী। এরপর তিনি আর ফিরে আসেননি। বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার ঝিকরহাটি গ্রামের খানবাড়ি সংলগ্ন রাস্তায় তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, ‘ইমরানের মরদেহে একটি চোখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এখনো নিশ্চিত নয়।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। দুটি মরদেহই ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। দুটি ঘটনাই গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে এবং জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।’
আপনার মতামত লিখুন :