‘জুলাই চেতনার বাস্তবায়ন, গণহত্যার বিচার, শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন এবং বৈষম্যহীন ইনসাফ ভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ার দাবিতে’ ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ, চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেলে শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আয়োজিত সমাবেশে জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। ইসলামি আদর্শ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের দাবিতে এই সমাবেশে ছিল ভিন্নমাত্রার আবেগ ও গণসচেতনতার বার্তা।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান।
তিনি বক্তব্যে বলেন, ‘জুলাই চেতনা মানে শহীদদের রক্তের সাথে বেইমানি নয়। আমরা গণহত্যার বিচার, শহীদ পরিবারের সম্মান, পুনর্বাসন ও বৈষম্যহীন কল্যাণ রাষ্ট্র চাই। যেখানে প্রতিটি নাগরিক ন্যায়বিচার পাবে। এ দেশ ইসলামী আদর্শে গড়ে তুলতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের প্রকৃত সমস্যার সমাধানে ব্যর্থ। ইসলাম ও মানবতা বিরোধী চক্রান্তের বিরুদ্ধে আমাদের শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এমন একটি রাষ্ট্র চাই, যেখানে দারিদ্র্য, দুর্নীতি ও বৈষম্যের জায়গা থাকবে না। শহীদদের স্বপ্ন পূরণে ইসলামী আন্দোলনই পারে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে সঠিক পথে এগিয়ে নিতে।’
প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি মানসুর আহমদ সাকী।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী যুব আন্দোলন জেলা সভাপতি মুফতি ইমরান হোসাইন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কুমিল্লা বিভাগ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মুহা. জয়নাল আবেদীন, ইসলামী আন্দোলন জেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা মাকসুদুর রহমান, সেক্রেটারী কে. এম. ইয়াসিন রাশেদ সানী, যুব আন্দোলনের সাবেক জেলা সভাপতি মাওলানা হেলাল আহমাদ ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সভাপতি ডি. এম. ফয়সাল।
সমাবেশে বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সম্প্রতি একটি রাজনৈতিক দলের জেলা সভাপতি মন্তব্য করেছেন, কোনো ইসলামপন্থি রাজনৈতিক দল মসজিদে দলীয় কার্যক্রম চালাতে পারবে না। এমনকি ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের তালিকা করার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
এ বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ইসলামী আন্দোলনের নেতারা বলেন, মসজিদ মুসলমানদের পবিত্র স্থান। এখান থেকেই রাষ্ট্র পরিচালনার আহ্বান আসবে। ইসলামী রাজনীতি ও জনকল্যাণের বার্তা মসজিদ থেকেই ছড়িয়ে পড়বে।
তারা আরও বলেন, ‘আমরা কোনো হুমকি-ধামকির পরোয়া করি না। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে ইসলামের আলোকে রাষ্ট্র গঠনের ঘোষণা দিতে হবে, আর এর সূচনা হবে মসজিদ থেকেই।’
বক্তারা সংবিধান ও ধর্মীয় মূল্যবোধ রক্ষার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ধর্ম ও রাজনীতিকে আলাদা করার ষড়যন্ত্র জনগণ মেনে নেবে না।
আপনার মতামত লিখুন :