যশোর সদর উপজেলার শাখারীগাতি গ্রামে এক প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েছেন হারুন অর রশিদ খান নামের এক বিএনপি নেতা। পরে স্থানীয়দের গণধোলাইয়ের পর পুলিশ তাকে আটক করে এবং শুক্রবার (১ আগস্ট) আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
আটক হারুন খান (৫০) শাখারীগাতি গ্রামের মৃত ইসহাক খানের ছেলে। তিনি নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন বিএনপির অর্থবিষয়ক সম্পাদক ও শাখারীগাতি এমএল মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে হারুন খান প্রতিবেশী এক প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে প্রবেশ করেন। সন্দেহজনক আচরণ লক্ষ্য করে স্থানীয়রা ওই ঘর ঘিরে ফেলেন এবং কিছু সময় পর হারুন খানকে 'আপত্তিকর অবস্থায়' আটক করেন। পরে উত্তেজিত জনতা তাকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে।
খবর পেয়ে নরেন্দ্রপুর পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং হারুন খানকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।
নরেন্দ্রপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই কবির হোসেন বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে আটক হারুনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। যেহেতু ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ বা মামলা হয়নি, তাই তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১৫১ ধারায় জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে হারুন খান দাবি করেছেন, আমি ওই বাড়িতে গিয়েছিলাম পাওনা টাকা চাইতে। পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।
ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে এবং স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা চলছে। বিএনপির স্থানীয় নেতারা কেউ প্রকাশ্যে এ বিষয়ে মন্তব্য না করলেও সামাজিক মাধ্যমে বিভক্ত প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা গেছে।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন