টানা বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় নোয়াখালীর বিভিন্ন অঞ্চলের ১৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় এসব বিদ্যালয়ের মাঠ ও আশপাশের সড়ক পানিতে তলিয়ে আছে। এতে করে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক- উভয়েরই বিদ্যালয়ে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের তথ্যমতে, বর্তমানে নোয়াখালী সদরে ৯টি, সোনাইমুড়ীতে ৩৪টি, কোম্পানীগঞ্জে ১৭টি, বেগমগঞ্জে ৮১টি, সেনবাগে ৯টি, কবিরহাটে ২২টি এবং সুবর্ণচরে ৫টি বিদ্যালয়ে জলাবদ্ধতা রয়েছে।
জানা গেছে, অনেক বিদ্যালয়ের সামনে বাঁশের সাঁকো বানিয়ে অস্থায়ী যাতায়াত ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু সেগুলো পিচ্ছিল হওয়ায় প্রায়ই শিশুরা পড়ে গিয়ে আহত হচ্ছে। মাঠে পানি জমে থাকায় শিক্ষার্থীদের খেলাধুলাও বন্ধ হয়ে গেছে।
বেগমগঞ্জ উপজেলার মধ্য করিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জানান, ‘স্কুলের মাঠে অনেকদিন ধরে পানি। অনেক বন্ধুই আসতে পারে না। খেলা তো করাই যায় না।’
চৌমুহনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিদ্যালয়ে যেতে জামাকাপড় ভিজে যায়। খুব কষ্ট হয়।’
এদিকে, অভিভাবকরা বিদ্যালয় আঙিনায় পানি নিষ্কাশনের দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইসরাত নাসিমা হাবীব বলেন, ‘আশপাশের এলাকায় পানি জমে থাকায় বিদ্যালয় আঙিনা ও মাঠে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। যেসব বিদ্যালয়ের মাঠ নিচু, সেগুলো ভরাটের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, গত বছরের ভয়াবহ বন্যায় জেলার বেশকিছু বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এবার এখন পর্যন্ত বড় ধরনের ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে চলমান জলাবদ্ধতা শিক্ষা কার্যক্রমে বড় ধরনের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :