টেকনাফে মাছ ধরার আড়ালে ইয়াবা পাচার, বিজিবির জালে জব্দ ১ লাখ পিস

নাফ নদীতে মাদকবিরোধী অভিযানে ১ লাখ ইয়াবা জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর টেকনাফ ব্যাটালিয়ন-২। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুরের দিকে  নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করে বিজিবি। জেলের ছদ্মবেশে মাছ ধরার আড়ালে নাফ নদী দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান পাচারের সময় পাচারকারীদের ধাওয়া দিয়ে এসব ইয়াবা উদ্ধার করে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আশিকুর রহমানের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে নৌ-টহল দলগুলো এ অভিযানে অংশগ্রহণ করে।

এনবিআরের ১৭ কর্মকর্তার সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুদক

বিস্তারিত পড়ুন

বিজিবির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুপুর দেড়টার দিকে বিজিবির সাবরাং বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় একটি সন্দেহজনক জেলে নৌকা শূন্যরেখা অতিক্রম করে বাংলাদেশের প্রায় ১০০ গজ ভেতরে অবস্থান নেয়। এসময়, বিজিবি’র নৌ-টহলদল নৌকাটিকে ধাওয়া করলে নৌকায় থাকা দুই মাদককারবারী লাফ দিয়ে সাঁতার কেটে মিয়ানমারের ভেতরে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে বিজিবি টহলদল ফেলে যাওয়া নৌকাটিতে তল্লাশী চালিয়ে মাছ ধরার জালের ভিতর লুকানো বিশেষভাবে মোড়কজাত একটি প্লাস্টিকের প্যাকেটের ভেতর থেকে ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে।

রাংপানিতে অভিযানে ২০ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার

বিস্তারিত পড়ুন

অভিযানের পর মাদক চক্রের সাথে জড়িতদের ধরতে নাফ নদীর বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে এ ঘটনায় জড়িতদের সনাক্ত করতে বিজিবির গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে এবং তাদেরকে আইনের আওতায় আনার কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানায় টেকনাফ বিজিবি-২ অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আশিকুর রহমান।

বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সবসময় সীমান্ত এলাকায় মাদক পাচার, অবৈধ কার্যক্রম ও বিভিন্ন অপরাধ দমনে কঠোর অবস্থান বজায় রেখেছে। জাতীয় নিরাপত্তা ও সীমান্ত সুরক্ষায় বিজিবির জিরো টলারেন্স নীতি সবসময় অটুট থাকবে।