শুক্রবার, ২২ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


শরীয়তপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৫, ০৫:০৮ পিএম

৮ বছরেও নির্মাণকাজ শেষ হয়নি কীর্তিনাশা নদীর ডা. গোলাম মাওলা সেতু

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৫, ০৫:০৮ পিএম

৮ বছরেও শেষ হয়নি কীর্তিনাশা নদীর ডা. গোলাম মাওলা সেতু, দুর্ভোগে লাখো মানুষ। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

৮ বছরেও শেষ হয়নি কীর্তিনাশা নদীর ডা. গোলাম মাওলা সেতু, দুর্ভোগে লাখো মানুষ। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

দীর্ঘ ৮ বছরেও শেষ হয়নি শরীয়তপুরের নড়িয়ায় কীর্তিনাশা নদীর ওপর নির্মাণাধীন ভাষা সৈনিক ডা. গোলাম মাওলা সেতু। একাধিকবার ঠিকাদার পরিবর্তন করা হলেও এখনো সেতুর ৪০ শতাংশ কাজ অসমাপ্ত রয়ে গেছে। ফলে প্রতিদিন শঙ্কা আর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট ছোট ইঞ্জিনচালিত নৌকায় নদী পার হচ্ছে হাজারো মানুষ। তাদের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জের সঙ্গে সড়কপথে যোগাযোগ সহজ করতে ১৯৯৭ সালে কীর্তিনাশা নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে সময়ের সাথে সেটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় ২০১৫ সালে সেতুটি যান চলাচলের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এরপর ২০১৭ সালে ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ২২২ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি নতুন সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় এলজিইডি। প্রথমে দায়িত্ব পায় নাভানা কনস্ট্রাকশন। তারা কিছু কাজ করলেও নকশা জটিলতা ও সময়ক্ষেপণের কারণে ৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা বিল উত্তোলন করে কাজ বন্ধ করে দেয়।

পরবর্তীতে নতুন করে ২৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকায় কাজের দায়িত্ব পায় কোহিনূর এন্টারপ্রাইজ। প্রতিষ্ঠানটি সেতুর ৬০ ভাগ কাজ শেষ করে ৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা বিল উত্তোলনের পর গত বছরের ৫ আগস্ট সরকারের পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে কাজ ফেলে পালিয়ে যায়। এরপর থেকেই কাজ পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।

সেতুর কাজ বন্ধ থাকায় এখনো কীর্তিনাশা নদী পার হতে হয় ইঞ্জিনচালিত নৌকায়। এতে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে যাতায়াত, ব্যবসায়ীদের মালামাল পরিবহণ, রোগীদের চিকিৎসার জন্য শহরে যাওয়া—সবকিছুতেই সৃষ্টি হয়েছে অবর্ণনীয় কষ্ট।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, শিক্ষার্থীরা বলে, বর্ষায় বই খাতা ভিজে যায়, ভয় লাগে ট্রলারে পার হতে।

ব্যবসায়ীরা জানান, সেতু না থাকায় পরিবহণ খরচ বেড়ে গেছে, ক্রেতা কমে গেছে, ব্যবসা বন্ধ হওয়ার জোগাড়।

যাত্রীরা জানান, প্রতিদিন ট্রলারে পার হয়ে বাস ধরতে হয়, যা ঝুঁকিপূর্ণ।

বাসচালকেরা বলছেন, সেতুটি চালু হলে যানবাহন চলাচল সহজ হবে, দুর্ভোগ কমবে।

এ বিষয়ে এলজিইডি শরীয়তপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম রাফেউল ইসলাম জানান, ‘দুই দফায় ঠিকাদার পরিবর্তন করতে হয়েছে। পুরাতন ঠিকাদারকে বাতিল করা হয়েছে। এখন নতুন করে টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। মৌখিকভাবে আশ্বাস মিলেছে, নতুন ঠিকাদার নিয়োগের পর দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।’

তবে, কবে নাগাদ সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হবে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা জানানো হয়নি। নতুন টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত ভবিষ্যৎও অনিশ্চিত।

Link copied!