রাজশাহীর চারঘাটের নন্দনগাছী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কামিনী গঙ্গারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বছরের ছয় মাস জলাবদ্ধ মাঠ পেরিয়ে শ্রেণিকক্ষে পৌঁছায়। কোথাও গোড়ালি, কোথাও হাঁটু পর্যন্ত পানি। মাঠে কোনো খেলাধুলা হয় না, ক্লাসরুমেও পানি ঢুকে পড়ে।
জানা গেছে, জলাবদ্ধতা নিরসনে গত পাঁচ বছরে ২০ লাখ টাকার বেশি খরচে ছয়টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। কিন্তু জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি মেলেনি।
স্থানীয়রা জানান, বিদ্যালয় মাঠ ও নালা বন্ধ করে খনন করা হয়েছে পুকুর, যা বাণিজ্যিকভাবে ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। এতে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যায়।
নিমপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের পাশে অবস্থিত দুটি বিদ্যালয়ে প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। নন্দনগাছী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে জলাবদ্ধতা নিরসনে ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে শুরু করে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত একাধিক প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ টাকা। এর বাইরে রাজস্ব খাত থেকে আরও ৫ লাখ টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়। তবুও কাজের ফল মিলছে না।
স্থানীয় বাসিন্দা আতাউর রহমান বলেন, ‘মাঠ যেন টাকা কামানোর মেশিন। প্রকল্প দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করা হয়, কিন্তু জলাবদ্ধতা দূর হয় না।’
কামিনী গঙ্গারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলরুবা খাতুন জানান, ‘সামান্য বৃষ্টিতেই বিদ্যালয় ডুবে যায়। একতলার অফিস ও শ্রেণিকক্ষে পানি ঢুকে পড়ায় কাগজপত্র ও আসবাবপত্র নষ্ট হচ্ছে।’
নিমপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিদ্যালয়ের পুকুর খনন করে ভাড়া দেওয়ার কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে নন্দনগাছী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান আখন্দ শিবলী বলেন, ‘বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য মাঠ ও পুকুর সংস্কার করেছি। তবে পুকুরপাড়ে কালভার্টের মুখ বন্ধ হওয়ায় পানি আটকে আছে।’
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমি নিজেই হাঁটুপানি মাড়িয়ে বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছি। শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ চরমে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন