ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা পূর্ব শাখার শিবির সভাপতি মো. রোমানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। দীর্ঘ সময় অচেতন থাকার পর পথচারীদের চেষ্টায় স্থানীয় বোরহানগঞ্জ বাজারে গিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের খবর দিলে তারা তাকে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করান। পরে তার শারীরিক অবস্থায় অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকালে ভোলা-চরফ্যাশন মহাসড়কের ভোলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও লালদিঘীর পাড় মধ্যবর্তী স্থানে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পর থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। তবে কে বা কারা তার উপর হামলা করেছে সেটি জানা যায়নি। শিবির সভাপতি রোমান বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের মো. সোহাগের পুত্র।
আহত রোমান জানান, গত কয়েক দিন আগে অপরিচিত একটি নাম্বার থেকে তাকে ফোন দিয়ে শিবিরের সদস্য হওয়ার জন্য বলেন। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার বিকালে তাকে ফোন দিয়ে ভোলা পলিটেকনিকের কাছে আসতে বলেন হামলাকারীরা।
রোমান ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তিনজন অপরিচিত যুবক হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। পরে জ্ঞান ফিরে পথচারীদের সহায়তায় স্থানীয় বোরহানগঞ্জ বাজারে পৌঁছান। তবে তিনি হামলাকারী কাউকে চিনতে পারেননি।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মো. মাকসুদুর রহমান ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হামলা। তারা স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অপরাধীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছিদ্দিকুর রহমান জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। থানার পক্ষ থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভুক্তভোগীর বক্তব্য নেওয়া হয়েছে।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন