সিরাজগঞ্জের তাড়াশ পৌর শহরে স্ত্রীর পাঠানো ডিভোর্স লেটার পেয়ে মজনু পারভেজ (৩৯) নামের এক মাইক্রোবাস চালক আত্মহত্যা করেছেন।
শনিবার (৩০ আগস্ট ) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তাড়াশ পৌর উত্তর ওয়াবদাবাদ এলাকা থেকে তার নিজ ঘর থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তাড়াশ থানার ওসি মো. জিয়াউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মজনু পারভেজ তাড়াশ পৌর শহরের মৃত আব্দুস সাত্তার আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, ২৫ বছর আগে মজনু পারভেজ পার্শ্ববর্তী বারুহাস ইউনিয়নের বিনসাড়া গ্রামের রোকসানা খাতুনকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন। তাদের দাম্পত্য জীবনে ১৬ বছর বয়সি এক ছেলে ও ৬ বছরের এক কন্যাসন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে অভাবের সংসারে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত। ৩ মাস আগে রোকসানা খাতুন সন্তানদের ফেলে বাবার বাড়ি যান।
বেশ কয়েকবার পারিবারিকভাবে চেষ্টা করেও রোকসানা খাতুনকে আনতে ব্যর্থ হন মজনু পারভেজ। সপ্তাহখানেক আগে রোকসানা খাতুন স্বামী মজনু পারভেজের ঠিকানায় ডিভোর্স লেটার পাঠান।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে ডাক পিয়ন বাসায় এসে ডিভোর্স লেটার বাড়িতে দিয়ে যান। এরপর থেকে তিনি বিষণ্নতায় ভুগছিলেন।
[70778
পরে আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নিজ ঘরে মজনু পারভেজের মরদেহ ঝুলতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা।
তাড়াশ থানার ওসি মো. জিয়াউর রহমান জানান, মজনু পারভেজের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন