যশোরের শার্শা উপজেলার সেতাই গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে রাসেল হোসেন (১৪) নামে এক কিশোর।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রাসেল ওই গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে। ঘটনার পর ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফন করা হয়, যা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সেতাই গ্রামের যুবলীগ নেতা কামরুজ্জামান টুটুল ফকির তার বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে আমবাগান ও মাছের ঘেরে অবৈধভাবে বিদ্যুতের টানা লাইন চালু রাখেন। বিদ্যুৎ বিভাগ বিষয়টি জানলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। সম্প্রতি টুটুল ওই বাগান লিজ দেন জালাল শেখের কাছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাগানের শুকনো ডাল কেটে স্থানীয় প্রাইভেট শিক্ষক পিয়ার আলীর ছেলে জুয়েল রানার কাছে বিক্রি করা হয়। এ সময় বিদ্যুতের একটি তার কেটে মাটিতে পড়ে থাকে।
শুক্রবার সকালে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে রাসেলসহ তিন কিশোরকে জুয়েল রানা কাঠ আনতে বাগানে পাঠান। কাঠ তুলতে গিয়ে মাটিতে পড়ে থাকা বিদ্যুতের তার রাসেলের পায়ে জড়িয়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। বাকি কিশোররা ভয়ে পালিয়ে যায়। পরে এক ঘণ্টা পর গ্রামের লোকজন মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। সন্ধ্যায় দেনদরবার শেষে লাশ দাফন করা হয়।
ঘটনার পর বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অবৈধ সংযোগের তার সরিয়ে ফেলেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে যুবলীগ নেতা টুটুল ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করেছেন।
শার্শা থানার ওসি আব্দুল আলিম বলেন, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন