গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় চুরির সন্দেহে মোহাম্মদ মোজাম্মেল (৫০) নামে এক কৃষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ করেছেন স্বজনরা।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
নিহত মোজাম্মেল কাপাসিয়ার দক্ষিণগাঁও গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কাপাসিয়ার সনমানিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণগাঁও এলাকায় মতিউর রহমানের স্ত্রী খুকি আক্তারের (৪০) বাড়ি থেকে হাঁড়ি-পাতিল চুরির অভিযোগে স্থানীয় কয়েকজন মোজাম্মেলকে আটক করে গণপিটুনি দেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
পরে তাকে উদ্ধার করে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টার দিকে তিনি মারা যান।
নিহতের চাচাতো ভাই মোহাম্মদ ওমর ফারুক অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে চুরির অপবাদ দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তাকে নিজ বাড়ির সামনে থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ১০-১২ জন লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে। হত্যাকারীদের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত বিরোধ ছিল।’
নিহতের স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার স্বামীকে খুন করা হয়েছে। আমি রাত ৩টার দিকে থানায় অভিযোগ দিতে গেলে কম্পিউটার অপারেটর না থাকায় মামলা নিতে পারেনি পুলিশ। সকালে আবার থানায় যাচ্ছি মামলা করার জন্য। আমার স্বামী একজন কৃষক ছিলেন। মানুষের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালাতেন। এখন তাকে মেরে ফেলল, আমি আমার দুই ছেলে আর এক মেয়েকে নিয়ে কোথায় যাব?’
কাপাসিয়া থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল জানান, ‘নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় জনতা পিটিয়ে আহত করার পর তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।’