শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৫, ০৩:১৭ পিএম

ব্যস্ত প্রতিমা শিল্পীরা, শেষ মুহূর্তে চলছে রংতুলির আঁচড়

আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৫, ০৩:১৭ পিএম

দিন-রাত কঠোর পরিশ্রমে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

দিন-রাত কঠোর পরিশ্রমে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

সনাতন সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরুর আর মাত্র একদিন বাকি। শহর থেকে গ্রাম, পাড়া-মহল্লা সর্বত্র লেগেছে উৎসবের আমেজ। পূজার আনন্দঘন পরিবেশকে রাঙাতে দিন-রাত কঠোর পরিশ্রমে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা। দম ফেলার ফুরসৎ নেই তাদের। শেষ আঁচড়ের ছোঁয়ায় দেবী দুর্গা প্রতিমায় ফুটে উঠছে জীবন্ত রূপ।

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার ৩৭টি মণ্ডপে মণ্ডপে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। কল্পনায় দেবী দুর্গার অনিন্দ্যসুন্দর রূপ দিতে শিল্পীর রংতুলির জাদুতে প্রতিমা সাজানো হচ্ছে মহালয়া থেকেই। এখন চলছে শাড়ি ও গহনায় দেবীকে অলঙ্কৃত করার শেষ কর্মযজ্ঞ। মণ্ডপগুলোতে মৃৎশিল্পীদের যাদুকরী হাতে সাঁজানো প্রতিমা দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন ভক্তরা। এরইমধ্যে ঢাকের বাদ্য আর প্রতিমা তৈরিতে কারিগরদর ব্যস্ততা জানান দিচ্ছে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা। একদিন পরেই (২৮ সেপ্টেম্বর) মহাষষ্ঠীতে দেবী দুর্গার বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে পাঁচদিনের শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা।

এবার পৌরসভায় ৮টি, রুকিন্দীপুর ইউনিয়নে ৬টি, সোনামুখী ইউনিয়নে ০৩টি, গোপীনাথপুর ইউনিয়নে ১০টি, তিলকপুর ইউনিয়নে ০৩টি রায়কালী ইউনিয়নে ৭টিসহ উপজেলায় মোট ৩৭টি মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।

উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. রাজেন্দ্র প্রসাদ আগরওয়ালা বলেন, পূজার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আনসার ভিডিপি, সেনাবাহিনী, পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে প্রতিটি মণ্ডপে নিরাপত্তার জন্য স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে। এ ছাড়াও গত ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে প্রতিটি মণ্ডপে আনসার ভিডিপি সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

উপজেলার বিভিন্ন মণ্ডপে ঘুরে দেখা যায়, মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে নানান প্রস্তুতি। সাজসজ্জা, আলোকসজ্জা, প্যান্ডেল তৈরি ও ডেকারেশনসহ অন্যান্য কাজগুলো জোর গতিতে চলছে।

পৌর শহরের নবাবগঞ্জ ঘাট (পারঘাটি) কেন্দ্রীয় সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরে কাজ করছেন নওগাঁ জেলা থাকা আসা অমিত প্রমানিক (মালাকার)।

অমিত মালাকার বলেন, এ বছর তিনি বিভিন্ন এলাকায় ৯টি মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ নিয়েছেন। আকার ভেদে প্রতিটি প্রতিমার পারিশ্রমিক নিচ্ছেন ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

নবাবগঞ্জ ঘাট (পারঘাটি) কেন্দ্রীয় সর্বজনীন দুর্গা মন্দিরের পূজা কমিটির সভাপতি শ্রী কমল চন্দ্র দাস বলেন, ‘এখানে আমরা ২০০টি পরিবার বসবাস করি। দীর্ঘ দিন ধরে এই মন্দিরে পুজা অর্চনা হয়ে আসছে। বিজয়া দশমীর দিন বিশাল মেলা বসে মন্দির প্রাঙ্গণে। আমাদের এই মন্দিরটি তুলশী গঙ্গা নদী সংলগ্ন হওয়ায় প্রতি বছর নৌকায় মা দুর্গাকে তুলে কয়েক কিলো প্রদক্ষিণ করে সন্ধ্যায় বিসর্জন দেওয়া হয়। এই সময় শত শত দর্শনার্থী নৌকায় চড়ে ভ্রমণ ও উপভোগ করে। প্রতি বছর জাঁকজমকভাবে পূজা উদযাপন করা হয়।’

উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ওমপ্রকাশ আগরওয়ালা বলেন, ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার। বাঙালি জাতির মহা উৎসব দুর্গাপূজা, যা আদিকাল থেকে সর্বজনীনভাবে পালন হয়ে আসছে। প্রতিটি ঘরে ঘরে মহা আনন্দ উৎসব পালন হয়। আসুন আমরা সবাই মিলে মুক্তি লাভের জন্য দুর্গতিনাশিনী মা দুর্গার কাছে প্রার্থনা করি।’

আক্কেলপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, মণ্ডপগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত ছাড়াও প্রতি পূজামণ্ডপে পুলিশি টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি মণ্ডপের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলে স্বেচ্ছাসেবক রাখা হয়েছে। পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ থাকবে।

এ ছাড়াও সকল ধর্মের মানুষকে নিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটির সদস্যরাও মণ্ডপগুলোতে নিরাপত্তার কাজে যুক্ত থাকবে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!