ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে এক গারো কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক অটোরিকশাচালকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় করা মামলায় চালক বাশারসহ আরও ১ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার জুবলী এলাকা থেকে মো. মিলন (২১) নামের আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ বুধবার দুপুর ২টার দিকে একই এলাকা থেকে অটোরিকশাচালক বাশারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর আগে, মঙ্গলবার রাতে ভুক্তভোগী কিশোরীর মা লিখা চাম্বু গং বাদী হয়ে হালুয়াঘাট থানায় মামলা দায়ের করে। গত সোমবার রাতে উপজেলার জুগলী ইউনিয়নে পূজা দেখতে বের হয়ে ধর্ষণের শিকার হন ওই গারো কিশোরী।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার জুবলী গ্রামের আজহারুল ইসলামের ছেলে অটোরিকশাচালক বাশার ও নয়াপাড়া এলাকার আজিজুল ইসলামের ছেলে মো. মিলন (২১)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার সকালে পূজা দেখার জন্য ভুক্তভোগী কিশোরীকে মোবাইল ফোনে কল করে বাড়ি থেকে ডেকে নেন মিলন নামের এক যুবক। কিন্তু পূজা দেখানোর কথা বলে মিলন ওই মেয়েকে নিয়ে সারা দিন স্থানীয় পার্কে ঘোরাঘুরি করেন।
ঘোরাঘুরি শেষে রাতে মিলন ওই কিশোরীকে অটোরিকশায় তুলে দেন। এরপর একই এলাকার অটোচালক আবুল বাশার তাকে নির্জনস্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর রাত ১১টার দিকে বাশার ভুক্তভোগীকে গামারিতলা মোড়ে ফেলে চলে যান।
মামলার বাদী ভুক্তভোগীর মা বলেন, ‘মিলন আমার মেয়ের পূর্বপরিচিত। পূজা দেখার জন্য সে আমার মেয়েকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে জোর করে অটোরিকশায় তুলে দিলে এ ঘটনা ঘটে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।’
হালুয়াঘাট থানার ওসি হাফিজুল ইসলাম হারুণ বলেন, ‘এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। সহযোগীসহ মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আগামীকাল বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হবে।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন