গাজীপুরের শ্রীপুর জৈনা বাজারে কাঁচা মরিচের দাম হঠাৎ বেড়ে খুচরায় প্রতি কেজি ৪০০ টাকা পর্যন্ত পৌঁছেছে। মাত্র এক সপ্তাহ আগেও এই দাম ছিল অর্ধেকের কম।
ক্রেতারা বলছেন, সংসার চালানো এখন কঠিন হয়ে পড়েছে।
জৈনা বাজারের পাইকারি বিক্রেতা অলী মিয়া বলেন, ইন্ডিয়া থেকে কাঁচা মরিচ আসা বন্ধ। পূজা চলছে, ট্রাক আসছে না। তাই দাম বেড়েছে। পূজা শেষে সরবরাহ শুরু হলে দাম কমবে, তবে সরবরাহ না বাড়লে দাম আরও বাড়তে পারে।
এক খুচরা বিক্রেতা জানান, ‘আমরা জোর করে দাম বাড়াইনি। পাইকারি বাজারেই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। ক্রেতারা মনে করেন আমরা দাম বাড়াচ্ছি। আসলে আমরা নিজেরাও বিপাকে আছি।’
মরিচের পাশাপাশি অন্যান্য সবজির দামও চড়া। আজকের পাইকারি বাজারের দাম:
-
গাজর: ১২০ টাকা কেজি
-
টমেটো: ১১০ টাকা কেজি
-
পেঁয়াজ: ৬২ টাকা কেজি
-
মিষ্টি কুমড়া: ১৩০ টাকা প্রতি পিস
-
রসুন: ১০০ টাকা কেজি
-
বড় রসুন: ১৩০ টাকা কেজি
-
আদা: ১৯০ টাকা কেজি
-
করলা: ৮০ টাকা কেজি
-
ধনিয়া পাতা: ২০০ টাকা কেজি
তবে চিচিঙ্গা, ধুন্দুল, কচু, শসা, পেঁপে ও পটলের দাম কিছুটা কম থাকায় ক্রেতারা সেগুলো কিনছেন।
শ্রীপুর উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাঈদ চৌধুরী বলেন, মরিচের দাম হুহু করে বাড়ছে। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ। বাজার তদারকি না করলে সাধারণ মানুষ আরও অসহায় হয়ে যাবে। নিত্য প্রয়োজনীয় সবজির দাম কমানোর জন্য ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
দিনমজুর সজিব মিয়া জানান, ‘আমি দিনে ৫০০ টাকা রোজগার করি। বাজারে মরিচ-আদা কিনতে অর্ধেক অর্থ চলে যায়। বাচ্চাদের নিয়ে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।’
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পূজা শেষে ভারত থেকে সরবরাহ শুরু হলে দাম কিছুটা কমতে পারে। তবে সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে শীতের আগেই কাঁচা মরিচের দাম ৫০০ টাকা ছাড়াতে পারে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন