ঢাকা শনিবার, ০৪ অক্টোবর, ২০২৫

১০ বছরে শুধু নামেই ময়মনসিংহ ‘বিভাগ’, দপ্তর চলছে ভাড়া বাসায়

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২৫, ০১:২৫ পিএম
ময়মনসিংহ বিভাগ। ছবি- সংগৃহীত

১০ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহর। ভাড়া বাসায় চলছে দাপ্তরিক কাজ। বিভাগীয় সুবিধা রয়ে গেছে শুধু কাগজে-কলমে। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ভবন নির্মাণ নতুন শহরে হওয়ার কথা থাকলেও তা চলছে এখন ভাড়া বাসাবাড়িতে, ছোট পরিসরে। দীর্ঘদিনেও শেষ হয়নি ভূমি অধিগ্রহণ। ফলে কয়েকগুণ চাপ বেড়েছে পুরোনো শহরে। সেইসঙ্গে দুর্ভোগ বেড়েছে চার জেলার ২ কোটি মানুষের।

এ জন্য নেতৃত্বের অভাব, ধীরগতি ও দুর্নীতিকে দায়ী করছেন বিশিষ্টজনেরা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুরোদমে কাজ শুরু করলেও তা শেষ হতে সময় লাগবে কমপক্ষে তিন বছর। অথচ বিভাগীয় শহরের ৯৪৫ একর জমির ওপর বিভাগীয় শহর স্থাপনে ভূমি অধিগ্রহণ, ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসন প্রকল্পে ১ হাজার ২২৪ কোটি টাকা অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর দেশের অষ্টম বিভাগ হিসেবে যাত্রা শুরু করে ময়মনসিংহ বিভাগ। পরিকল্পিত ও আধুনিক বিভাগীয় শহর নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ দিলেও তা থমকে যায় ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায়। নতুন বিভাগীয় শহর না হওয়ায় পুরোনো শহরে চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ। এক দশকেও কোনো দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়নি এই বিভাগে। বিভাগীয় দপ্তরগুলোর ভবন নির্মাণের জায়গা নির্ধারণ করা হলেও তাদের প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কাজ চলছে ভাড়া বাড়িতে। ছোট পরিসরে কার্যক্রম চলায় চার জেলার মানুষদের পড়তে হয় নানা দুর্ভোগে।

স্থানীয় নাগরিক ও সুজন নেতা কবি আলী ইউসুফ, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট এম হান্নান বলেন, নেতৃত্বের অভাব, অর্থের অসম বণ্টন ও প্রশাসনের অনাগ্রহ রয়েছে।

জেলা নাগরিক আন্দোলন ময়মনসিংহ জেলার সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এইচ এম খালেকুজ্জামান বলেন, বিভাগীয় সুযোগ-সুবিধার বদলে কয়েকগুণ বেশি ব্যয় বেড়েছে নাগরিকদের। আমরা দ্রুত নাগরিকদের সুবিধা ও বিভাগীয় শহরের দ্রুত দৃশ্যমান বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।

বিভাগীয় কমিশনার মোখতার আহমেদ এ ব্যাপারে জানান, বিভাগীয় শহরের ভূমি অধিগ্রহণের ৮৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এখন মাটি ভরাটের কাজ চলছে। পুরোদমে কাজ করলেও কমপক্ষে আরও তিন বছরের আগে এটি দৃশ্যমান হবে না ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহরের কাজ।