নরসিংদীর গাবতলীতে ভূমিকম্পে ভাড়া বাসার দেয়াল ধসে ওমর (১০) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় তার বাবা উজ্জ্বল গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন।
আজ শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল দিকে নরসিংদী সদরের গাবতলীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ভূমিকম্প শুরু হলে বাবা-ছেলে ঘরের ভেতরেই ছিলেন। হঠাৎ একটি দেয়াল ভেঙে পড়ে তাদের চাপা দিলে দু’জনই গুরুতর আহত হন।
স্থানীয়রা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে প্রথমে কাছের হাসপাতালে নেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে দুপুর ১টার দিকে বাবা-ছেলেকে ঢামেকের জরুরি বিভাগে আনা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওমরকে মৃত ঘোষণা করেন এবং তার বাবাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে ভর্তি করেন।
নিহত শিশুর চাচা জাকির জানান, ওমর স্থানীয় একটি মাদ্রাসার হেফজখানায় পড়াশোনা করত। তার বাবা উজ্জ্বল জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষে অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত। তাদের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানায় হলেও পরিবারের সদস্যরা নরসিংদীর গাবতলীতে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, ওমরের মরদেহ বর্তমানে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে এবং তার বাবা আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন।
এদিকে ভূমিকম্পের ঘটনায় নরসিংদীর পলাশ উপজেলার চরসিন্দুরে ভূমিকম্পে মাটির ঘর ধসে কাজম আলী (৭৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত কাজম আলী মৃত বাছর আলীর ছেলে। চরসিন্দুর ইউনিয়নের মালিতা পশ্চিম পাড়া গ্রামে আর বাড়ি।
পুলিশ ও স্বজনদের বরাতে জানা যায়, সকালে নিজের মাটির ঘরে অবস্থান করছিলেন মালিতা পশ্চিম পাড়া গ্রামের বাসিন্দা কাজম আলী। সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ভূমিকম্প আঘাত হানলে মুহূর্তে তার মাটির ঘরটি ধসে পড়ে। এতে দেওয়ালের নিচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন তিনি।
পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্রুত তাকে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে পাঠান। সেখানে নেওয়ার পথে দুপুর ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
পলাশ থানার ওসি মো. মনির হোসেন বলেন, ভূমিকম্পে মাটির ঘর ধসে কাজম আলীর মৃত্যু হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।

