অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, শুক্রবারের ভূমিকম্পে আহত ও নিহতের বেশিরভাগ ঘটনাই ঘটেছে ‘প্যানিক’ বা আতঙ্কের কারণে। দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের খোঁজ নিতে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন।
উপদেষ্টার বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীসহ অনেকেই ভূমিকম্প অনুভবের পর আতঙ্কে দৌড়াদৌড়ি বা লাফ দেওয়ার কারণে গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই বর্তমানে ভূমিকম্পে আহত দুই শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের একজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানান তিনি। এছাড়া নরসিংদী থেকে আসা আহত দুজনের মধ্যে এক শিশু মারা গেছে, শিশুটির বাবা হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন।
এদিকে মিটফোর্ড হাসপাতালে তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টিও নিশ্চিত করেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা। নিহতদের মধ্যে ওই হাসপাতালের একজন শিক্ষার্থীও রয়েছেন বলে জানা গেছে।
তিনি বলেন, আমরা দেশের বিভিন্ন এলাকাতেই খোঁজ নিয়েছি। কোথাও ভবন ধস বা বড় ধরনের ক্ষতি না হলেও আতঙ্কে ছুটোছুটি করার কারণে অনেকেই আহত হয়েছেন।
নূরজাহান বেগম জানান, উপদেষ্টা হিসেবে তিনি সব সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থায় কোনো ত্রুটি যেন না থাকে, সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, সব হাসপাতালে বলেছি-চিকিৎসায় যেন কোনো ঘাটতি না থাকে। সবাই মিলে আমরা সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ভূমিকম্পের মাত্রা ৫.২ বলে উল্লেখ করলেও আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে এর প্রকৃত মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭।
