খুলনার দাকোপ উপজেলার তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের বটবুনিয়া এলাকায় ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ দুইদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো মেরামত করা সম্ভব হয়নি। ফলে প্লাবিত এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট।
গত মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকী নদীর পানির প্রবল স্রোতে প্রায় ২০০ ফুটজুড়ে বাঁধটি ভেঙে যায়। এতে তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের উত্তর কামিনীবাসিয়া, বটবুনিয়া, নিশানখালী, আড়াখালী, দক্ষিণ কামিনীবাসিয়া, ভাদলাবুনিয়া, মশামারী, গড়খালী ও কাকড়াবুনিয়া এলাকা প্লাবিত হয়।
অব্যাহত জোয়ার-ভাটার প্রভাবে এসব এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। কেউ আশ্রয় নিয়েছেন খোলা আকাশের নিচে, কেউ বা নিজ ঘরে পানিবন্দি হয়ে আছেন।
এই প্লাবনে প্রায় ৩ হাজার বিঘা জমির আমন ধান, শত শত মাছের ঘের ও পুকুর এবং সবজির খেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে শত কোটি টাকারও বেশি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বাঁধ রক্ষায় অন্তত তিনবার চেষ্টা চালিয়েও তীব্র স্রোত ও মাটির ঘাটতির কারণে ব্যর্থ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন খুলনার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমান। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার, চাল, ডাল, তেল, লবণ ও মসলাসহ বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘খুব দ্রুত বাঁধ মেরামতের জন্য সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়ন করে সরকারি সহায়তা দেওয়া হবে।’
খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম বলেন, ‘স্রোতের তীব্রতা ও মাটি সংকটের কারণে বাঁধ আটকাতে বেগ পেতে হচ্ছে। তবে বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যেই বাঁধ আটকানো সম্ভব হবে বলে আশা করছি।’
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ১৬০ পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার এবং ১২০ পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন