গাজীপুরের শ্রীপুরে পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনতাই মামলার অন্যতম আসামি ও শীর্ষ সন্ত্রাসী জহিরুল ইসলাম লিটনকে (৪৫) দেড় মাস পর গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১)-এর গাজীপুর পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর বিলাসপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি রাত ৯টার দিকে নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১ গাজীপুর পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট নাফিজ বিন জামাল।
গ্রেপ্তারকৃত জহিরুল ইসলাম লিটন শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের কায়েতপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে এবং গাজীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য।
র্যাব জানায়, তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।
শ্রীপুর থানার ওসি মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, র্যাব সদস্যরা রাত ১০টার দিকে লিটনকে থানায় সোপর্দ করে। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
র্যাব-১ কমান্ডার লেফটেন্যান্ট নাফিজ বিন জামাল বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত লিটন শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরামা চৌরাস্তার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। গত ৫ সেপ্টেম্বর রাতে কায়েতপাড়া এলাকায় চাঁদাবাজি ও ত্রাস সৃষ্টি করতে চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পালিয়ে যায়। তার ওই কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সেদিন রাতেই বরামা চৌরাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন এবং লিটনের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।’
তিনি আরও জানান, গত ২৮ আগস্ট রাত ৮টার দিকে চাঁদা আদায়কালে স্থানীয়রা চিহ্নিত চাঁদাবাজ শেখ মামুন আল মুজাহিদ সুমনকে (৩৫) গণপিটুনি দেয়। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে লিটন ও তার সহযোগীরা ২০-৩০টি মোটরসাইকেলে এসে পুলিশের গাড়ি ঘেরাও করে এবং হামলা চালিয়ে আসামিকে ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় শ্রীপুর থানার এসআই রেজাউল করিম বাদী হয়ে মামলা করেন।
ঘটনার পর থেকেই র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে, লিটন গাজীপুর মহানগরীর বিলাসপুর এলাকায় আত্মগোপনে রয়েছে। পরে সেখানে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শ্রীপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে র্যাব সূত্রে জানা গেছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন