শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২৫, ০৪:২০ পিএম

শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে প্যাসিফিক গ্রুপের ৮ কারখানা বন্ধ

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২৫, ০৪:২০ পিএম

শ্রমিকদের বিক্ষোভের মুখে প্যাসিফিক গ্রুপের ৮ কারখানা বন্ধ। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

শ্রমিকদের বিক্ষোভের মুখে প্যাসিফিক গ্রুপের ৮ কারখানা বন্ধ। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) এলাকায় শ্রমিকদের বিক্ষোভের মুখে প্যাসিফিক গ্রুপের আটটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাতে মালিকপক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

বন্ধ ঘোষিত কারখানাগুলো হলো প্যাসিফিক জিন্স-১, প্যাসিফিক জিন্স-২, প্যাসিফিক অ্যাটায়ারস, প্যাসিফিক এক্সেসরিজ, প্যাসিফিক ওয়ার্কওয়্যারস, ইউনিভার্সেল জিন্স, এইচটি ফ্যাশন এবং জিন্স-২০০০।

প্যাসিফিক গ্রুপের চিফ অপারেটিং অফিসার সুহৃদ চৌধুরী বলেন, ‘বৃহস্পতিবার শ্রমিক বিক্ষোভের পর প্রথমে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে রাতে মালিকপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। এ সিদ্ধান্ত শনিবার থেকে কার্যকর হবে।’

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ইপিজেডের বিভিন্ন সেক্টরে প্যাসিফিক গ্রুপের কারখানাগুলোর সামনে বিক্ষোভ করে শ্রমিকরা। এ সময় প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি কিছু কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগও ওঠে।

প্যাসিফিক গ্রুপের এক কর্মকর্তা জানান, ‘গত কয়েকদিন ধরে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছিলেন। বৃহস্পতিবার পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয় এবং অনেক কর্মকর্তা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হন। রাতে আমাদের কাছে ছুটির নোটিশ পাঠানো হয়।’

কারখানা বন্ধের নোটিশে বলা হয়েছে, ১৪ অক্টোবর থেকে কিছু শ্রমিক বেআইনিভাবে কর্মবিরতি শুরু করে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা সত্ত্বেও তারা কাজে যোগ না দিয়ে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে, ভাঙচুর চালায় এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর হামলা করে। শ্রমিকদের এ আচরণ বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন, ২০১৯ অনুযায়ী বেআইনি ধর্মঘটের শামিল বলে উল্লেখ করা হয় নোটিশে।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, শ্রমিকদের এমন কর্মকাণ্ডের কারণে কারখানার স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু রাখা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

এর আগে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ২২ দাবিকে কেন্দ্র করে প্যাসিফিক ক্যাজুয়াল লিমিটেডের শ্রমিকরা বিক্ষোভ করলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে ওই প্রতিষ্ঠানের দুটি ইউনিট বন্ধ করে দেয় মালিকপক্ষ।

সর্বশেষ গত ৯ অক্টোবর প্যাসিফিক গ্রুপের কিছু শ্রমিক পুলিশের হয়রানির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করেন। এরপর ১৪ ও ১৫ অক্টোবরও বিভিন্ন কারখানায় বিক্ষোভ হয়। বৃহস্পতিবারের আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় অবশেষে আটটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!