সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২৫, ০১:০৩ পিএম

সোলার প্ল্যান্টের কোটি টাকার মালামাল লুটে নিল বিএনপি নেতার ভাতিজারা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২৫, ০১:০৩ পিএম

সোলার প্যানেলের মালামাল লুটের অভিযোগ। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

সোলার প্যানেলের মালামাল লুটের অভিযোগ। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদে যমুনা নদীর তীরে নির্মিত সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে ১ কোটি টাকার তামা ও আনুষঙ্গিক মালামাল লুটের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতা রফিক সরকারের দুই ভাতিজা পারভেজ হোসেন পার্থ ও পলাশসহ ৮ যুবকের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নিরাপত্তাকর্মী মেহেদী হাসান অয়ন।

অভিযুক্তরা হলেন- সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি রফিক সরকারের ভাতিজা পারভেজ হোসেন পার্থ (২৬), ও পলাশ (২৪)। মোহনপুর গ্রামের মো. কালাম (২৭), নোমান (২৫), রুহুল আলী (২৮), একই গ্রামের রুবেল আলী (২৭), খলিল আলী (২৩) সারটিয়া গ্রামের ভাঙ্গুরী ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম (২৫)।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ১৭ অক্টোবর সকালে বিএনপি নেতা রফিক সরকারের দুই ভাতিজাসহ আট যুবক সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে ১ কোটি টাকার তামা ও আনুষঙ্গিক মালামাল লুট করে সিরাজগঞ্জ বিসিক শিল্প পার্কের ভেতর দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের বাধা দিলে হকিস্টিক ও দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। হামলায় নিরাপত্তাকর্মী মেহেদী হাসান অয়ন ও আব্দুল হাকিম আহত হন। পরে তারা মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়। নিরাপত্তাকর্মীদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

অভিযোগকারী নিরাপত্তাকর্মী মেহেদী হাসান অয়ন বলেন, আমরা থানায় অভিযোগ দিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু অভিযোগ এজাহার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। পুলিশ বলেছে, তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। যারা মালামাল লুট করেছে তাদের দুজন বিএনপি নেতা রফিক সরকারের ভাতিজা। তার তদবিরের কারণে হয়তো মামলা এজাহার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেনি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করা হয়েছে। দেখি স্যাররা কি পদক্ষেপ নেয়।

এ বিষয়ে জানতে সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি রফিক সরকারকে ফোন করলে তিনি বলেন, আমি একটি মিটিংয়ে আছি, পরে কথা বলব।

সিরাজগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সোহাগ বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আমি একাধিকবার ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। বিএনপি নেতা রফিক সরকারের দুই ভাতিজা এই ঘটনার সাথে জড়িত বলে অভিযোগপত্রে তাদের নাম এসেছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!