সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২৫, ০৪:৫৮ পিএম

নবজাতক চুরির ঘটনায় নারীর ১৪ বছর কারাদণ্ড

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২৫, ০৪:৫৮ পিএম

নবজাতক চুরির দায়ে নারীর ১৪ বছর কারাদণ্ড। ছবি- সংগৃহীত

নবজাতক চুরির দায়ে নারীর ১৪ বছর কারাদণ্ড। ছবি- সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জে নবজাতক শিশু চুরির ঘটনায় দায়ের করা মানবপাচার মামলায় এক নারীকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় আরও পাঁচ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।

সোমবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক বেগম সালমা খাতুন এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আসামি মোছা. আলপনা খাতুনকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩)-এর ৭ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

রায়ে আদালত নির্দেশ দেন— জরিমানার অর্থ ভিকটিমের পরিবারকে প্রদান করতে হবে। আসামির বর্তমান বা ভবিষ্যতের সম্পদ থেকেও এই অর্থ আদায়যোগ্য থাকবে।

একই মামলায় আসামি মোছা. ছায়রন বেওয়া, মোছা. মিনা খাতুন, মোছা. মায়া খাতুন, মো. রবিউল ইসলামসহ আলোকদিয়া গ্রামের আরও পাঁচজনের বিরুদ্ধে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২-এর ৭/৮/১০(২) ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস প্রদান করেন আদালত।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে অভিযোগকারীর স্ত্রী মোছা. সবিতা খাতুন (৩০) প্রসববেদনা অনুভব করলে তাকে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল সাখাওয়াত মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন সকালে সিজার অপারেশনের মাধ্যমে তাদের এক সন্তানের জন্ম হয়। ওই দিন বিকেলে এক বোরখাপরা অজ্ঞাত নারী নবজাতককে কোলে নিয়ে আদর করার ভান করে হঠাৎ শিশুটি নিয়ে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে হাটিকুমরুল হাইওয়ে পুলিশ ও সলঙ্গা থানা পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে জানতে পারে, ওই নারী নবজাতকসহ আলোকদিয়া গ্রামে গেছেন। পরে সলঙ্গা থানা পুলিশ ছায়রন বেওয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নবজাতককে জীবিত উদ্ধার করে। একই স্থান থেকে আরও একটি মৃত নবজাতকের লাশ উদ্ধার করা হয়, যা পরবর্তীতে শনাক্ত করা হয় ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া শিশু হিসেবে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মাসুদুর রহমান মাসুদ বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে কাজ করেছেন। একটি শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হওয়ায় মামলার প্রমাণ আরও শক্তিশালী হয়েছে। আদালতের এই রায় মানবপাচার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!